

নির্বাচনের ঠিক আগে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বদল নিছক চমক এবং কোনো কাজের হবেনা। বিজেপি শাসনের অধীনে এই রাজ্য সবচেয়ে খারাপ শাসন, বাড়তে থাকা অর্থনৈতিক বোঝা এবং সন্ত্রাস দেখেছে। ত্রিপুরার মানুষ বিজেপিকে উচিত শিক্ষা দেবে। রবিবার এক ভিডিও বার্তায় একথা জানিয়েছেন সিপিআই(এম) সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরি। প্রসঙ্গত গতকাল শনিবারই নির্ধারিত মেয়াদের দশ মাস আগে পদ থেকে ইস্তফা দেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। আজ সকালে তাঁর জায়গায় শপথ নিয়েছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি মাণিক সাহা।
মুখ্যমন্ত্রী পদ থেকে বিপ্লব দেব-এর ইস্তফা প্রসঙ্গে এক বিবৃতিতে সিপিআই(এম) ত্রিপুরা রাজ্য কমিটির পক্ষ থকে জানানো হয়েছে, ‘এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের পেছনে অন্যতম মূল কারণ হচ্ছে বিগত বিধানসভা নির্বাচনের সময় দেওয়া দলীয় প্রতিশ্রুতি রূপায়ণ সহ সরকার পরিচালনায় এই সরকারের পুরোপুরি ব্যর্থতা। আগাপাশতলা ভূমিকা হচ্ছে সম্পূর্ণ জনবিরোধী। সব মিলিয়ে এই সরকারের পারফরমেন্স হচ্ছে একেবারে শূন্য…। জনগণ এই সরকারের ওপর থেকে বিশ্বাস ও আস্থা হারিয়ে ফেলেছে।’
মেয়াদ শেষের দশ মাস আগে বিপ্লব দেব ইস্তফা দিলেও এই ঘটনাকে ইস্তফা বলতে নারাজ সিপিআই(এম)। তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকারের চরম ব্যর্থতার কথা স্বীকার করে নিয়ে বিপ্লব দেবকে অপসারিত করেছে বিজেপি। কারণ বিপ্লব দেবের বদলি হিসেবে যাকে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে সেই মাণিক সাহাও রাজনৈতিক মহলে বিপ্লব ঘনিষ্ঠ বলেই পরিচিত। যার নিয়োগ ঘিরে দলের মধ্যেই অসন্তোষ চরমে। পরিষদীয় দলের নেতা নির্বাচনের সময় ক্ষোভে ফেটে পড়েন বিজেপি বিধায়ক রামপ্রসাদ পাল। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিওতে তাঁকে চেয়ার ছুঁড়তেও দেখা যায়। যদিও সেই ভিডিওর সত্যতা যাচাই করেনি পিপলস রিপোর্টার।
গত শুক্রবার দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এবং দলীয় সভাপতি জে পি নাড্ডার সঙ্গে দেখা করেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। সূত্র অনুসারে, কড়া নির্দেশ দিয়েই বিপ্লব দেবকে পদত্যাগে বাধ্য করেছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। গতকাল বিজেপি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপস্থিতিতেই রাজ্যপাল সত্যদেও নারায়ণ আর্যর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন বিপ্লব দেব।
উল্লেখ্য, ৯ মার্চ ২০১৮ সালে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন বিপ্লব দেব। আগামী বছরের মার্চ মাসের মধ্যে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। গতকাল ইস্তফার পর সাংবাদিকদের তিনি ইঙ্গিত দিয়েছেন, এবার ফের তিনি সাংগঠনিক কাজে ফিরে যাবেন।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন