মাথা ন্যাড়া করে 'প্রায়শ্চিত্ত' করলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক, যোগ দিতে পারেন তৃণমূলে

কয়েকদিন ধরে কলকাতাতেই আছেন। তপসিয়ার তৃণমূল ভবনেও দেখা যায় ত্রিপুরার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক আশিস দাসকে। মঙ্গলবার বিজেপি ছাড়েন তিনি।
আশিস দাস
আশিস দাস
Published on

বিজেপির মতো কোনও অশুভ শক্তিকে পরাস্ত করতে পারে একমাত্র নারী শক্তি। পিতৃপক্ষ শেষ হওয়ার ঠিক আগে অর্থাৎ মহালয়ার আগের দিন কালীঘাটে গিয়ে মাথা কামিয়ে 'পাপের প্রায়শ্চিত্ত' করলেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস যিনি আরএসএস ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রাজনৈতিক মহলে।

বেশ কয়েকদিন ধরেই তিনি বেসুরো হয়েছিলেন। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে সরব হন তিনি। তখন থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছিল যে এবার হয়তো তিনি গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুলে যোগ দিতে পারেন। মহালয়ার দিন তাঁর কর্মকাণ্ডে সেই জল্পনায় জোরালো হলো বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

কয়েকদিন ধরে কলকাতাতেই আছেন। তপসিয়ার তৃণমূল ভবনেও দেখা যায় ত্রিপুরার সুরমা বিধানসভা কেন্দ্রের বিজেপি বিধায়ক আশিস দাসকে। মঙ্গলবার বিজেপি ছাড়েন তিনি। আর এই ঘটনা ত্রিপুরা বিজেপিকে বড় ধাক্কা দেবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
মঙ্গলবার সকালে কালীঘাটে পুজো দিয়ে আশিসবাবু ত্রিপুরাবাসীর মঙ্গল কামনায় প্রথমে যজ্ঞ করেন। পরে আদিগঙ্গার পাড়ে মাথা ন্যাড়া করেন। তারপরে জগন্নাথদেবের পুজো দেন।

গঙ্গা নমস্কার করে প্রাক্তন বিজেপি বিধায়ক বলেন, 'বিজেপি দল ছাড়লাম। পাপের প্রায়শ্চিত্ত করলাম।' পাশাপাশি ত্রিপুরার রাজ্য প্রশাসনের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়ে তিনি বলেন, বিজেপির ভোট ১.৫ শতাংশ ছিল। তা থেকে ২৫ শতাংশে নিয়ে গিয়েছিলাম। ২০১৮ সালে জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হই। কিন্তু বিজেপি শাসিত রাজ্যে অরাজকতা ও একনায়কতন্ত্র চলছে।'

আশিস দাস
Tripura: এবার RSS ঘনিষ্ঠ বিজেপি বিধায়কও তৃণমূলে!

তাঁর অভিযোগ, ভালবাসা ও ঘৃণা একে অপরের পরিপূরক। বিপ্লব দেব মানুষকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণে ব্যর্থ। কালীঘাটে তিনি ঘোষণা করেন, ২০২৩ সালে ত্রিপুরায় বিধানসভা নির্বাচন পর্যন্ত তাঁর মাথা ন্যাড়া থাকবে। আগামী দিনে অনেকেই বিজেপি ছাড়ছেন বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তিনি।

দলের মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী বলেন, 'সুরমার মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন আশিস দাস। যাঁদের ভোটে তিনি নির্বাচিত, তাঁদের অপমান করলেন বিধায়ক।' ঘটনার নিন্দা করে ত্রিপুরার বিক্ষুব্ধ বিজেপি বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনের কটাক্ষ, জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য আরও অনেক উপায় ছিল বিধায়কের।

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in