রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে যাঁরা তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে গিয়েছিলেন, তাঁদের অনেকেই এখন তৃণমূলমুখী। এই ভাঙনের প্রাবল্য ক্রমশ বাড়ছে। বিজেপির অন্দরেও শুরু হয়েছে গুঞ্জন। অন্যদিকে কংগ্রেস নেতারা তৃণমূলে যোগ দিচ্ছেন। ফলে এবার ত্রিপুরার বিজেপিও ভাঙছে বলে সে রাজ্যের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, সম্প্রতি আরএসএস ঘনিষ্ঠ ত্রিপুরার বিজেপির বিধায়ক আশিস দাস যোগদানের জন্য কলকাতায় তৃণমূল ভবনে নেতাদের সঙ্গে দেখা করতে আসেন। তাহলে কি ত্রিপুরার সুরমা কেন্দ্রের এই বিধায়ক গেরুয়া শিবির ছেড়ে এবার ঘাসফুলের পথে হাঁটবেন? প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার বিক্ষুব্ধ বিজেপি নেতা সুদীপ রায় বর্মণের কাছের মানুষ হিসেবে পরিচিত আশিস।
মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের বিরুদ্ধে বেশকিছুদিন ধরেই তিনি সরব হয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, আদালত অবমাননা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, 'ত্রিপুরা সিভিল সার্ভিসের আধিকারিকদের সম্মেলনে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। এই রাজ্যে এক-এক জনের জন্য এক-এক রকম আইন।' এর আগে তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর হামলা এবং সিপিএমের কার্যালয় ভাঙার ঘটনার তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।
উল্লেখ্য, বাংলার নির্বাচন শেষ হতেই বাংলাভাষী ত্রিপুরায় নজর দিয়েছে তৃণমূল। সেই তালিকায় আছে অসম, গোয়াও। ঘাসফুল শিবিরের দাবি, ত্রিপুরার বিজেপির বহু বিধায়কই দলবদল করতে ইচ্ছাপ্রকাশ করেছেন। এই আবহে আশিস দাস তৃণমূলে গেলে অস্বস্তি বাড়বে বিজেপির।
এর আগে অসমের কংগ্রেস নেত্রী সুস্মিতা দেব, গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলেইরো কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগদান করেছেন। রাজ্যের বাইরে যে তৃণমূলের শক্তি সম্প্রসারিত হচ্ছে, তাই এই নেতার ঘাসফুলে যোগদানের সম্ভাবনায় পরিষ্কার বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।