মমতাকে বিরোধী জোটের মুখ বানাতে মরিয়া তৃণমূল, কংগ্রেস 'ডিপফ্রিজে' - কটাক্ষ জাগো বাংলায়

জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতারাই মমতাকে বিকল্প বিরোধী জোট গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন।
ফাইল চিত্র
ফাইল চিত্র
Published on

ইউপিএ নেই বলে আগেই সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করে তিনি বিকল্প জোটের ইঙ্গিত দিচ্ছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সেই জোটে অবশ্য তিনি কংগ্রেসের জন্য রাস্তা খোলা রেখেছেন। তবে কোনওভাবে কংগ্রেসের নেতৃত্বে চলতে রাজি নন তিনি।

দলীয় মুখপত্রে কংগ্রেসকে একহাত নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। কংগ্রেস ডিপফ্রিজে চলে গিয়েছে, তাই নিজেকেই তিনি বিরোধী জোটের প্রধান মুখ বলে মনে করছেন। জাগো বাংলার সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছে, বিরোধী নেতারাই মমতাকে বিকল্প বিরোধী জোট গঠনের দায়িত্ব দিয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বই গিয়ে এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ারের সঙ্গে দেখা করে এসেছেন মমতা। যদিও কংগ্রেসের বৈঠকে তৃণমূল যায়নি।

কংগ্রেসের ধারাবাহিক ব্যর্থতা ও নেতৃত্বের অপরিণামদর্শিতার জন্য রাহুল গান্ধীকে আক্রমণ করে 'জাগো বাংলা'র সম্পাদকীয়তে লেখা হয়েছে, তৃণমূল বহুদিন ধরেই কংগ্রেস ব্যর্থ, ইউপিএ শেষ বলে আসছে। আর তাই বিরোধী জোট দরকার। দলীয় কোন্দল ও রক্ত ক্ষরণে কংগ্রেস বিদীর্ণ। তার জেরে দল ধরে রাখাই সমস্যার। প্রসঙ্গত, গত কয়েক মাসে বিভিন্ন রাজ্য থেকে অনেক কংগ্রেস নেতাই তৃণমূলে যোগদান করেছেন।

পঞ্জাব, গোয়া ও ত্রিপুরার রাজনৈতিক পরিস্থিতির কথা তুলে বলা হয়েছে, শ্রমিক বিরোধী, কৃষক বিরোধী, জনবিরোধী শক্তি বিজেপিকে হারানোর জন্য বিকল্প জোটের দ্রুত প্রয়োজন। সবথেকে বড় বিরোধী দল হিসেবে কংগ্রেস ডিপ ফ্রিজ বন্দি হয়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, দলীয় মুখপত্রে এর আগেও কংগ্রেসকে বিঁধেছিল তৃণমূল। সেপ্টেম্বরের সম্পাদকীয়তে বলা হয়েছিল, কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী বিকল্প নয়। কিন্তু রাহুল গান্ধী এখনও নরেন্দ্র মোদীর বিকল্প হয়ে উঠতে পারেননি। দেশের বিকল্প মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এর আগে কংগ্রেসকে পচা সমুদ্র বলে উল্লেখ করেছিলেন তৃণমূল নেত্রী। বিজেপিকে কংগ্রেস হারাতে না পারলেও গেরুয়া শিবির বারবার ঘাসফুলের কাছে হার মেনেছে। এমনটা দাবি করা হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে।

ফাইল চিত্র
TMC-Congress: কংগ্রেস ভাঙার তৃণমূলী কৌশলে ধাক্কা বিরোধী জোটে, পরোক্ষ লাভ বিজেপির? উঠছে প্রশ্ন

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in