আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুন, নারকীয় কাণ্ডে উত্তাল মধ্যপ্রদেশ! আহত ১৩ পুলিস কর্মী

মহিলার দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই আদিবাসীরা অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে থানা ঘেরাও করেন। মৃতদেহ নিয়ে ধর্নায় বসেন রাতভর। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাড়গোন্ডা থানা এলাকায়।
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবিছবি সংগৃহীত

এক আদিবাসী মহিলাকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় উত্তাল মধ্যপ্রদেশ! রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে ইন্দোরের মহু (Mhow) এলাকা। অভিযুক্তকে গ্রেফতারের দাবিতে বুধবার রাতে বাড়গোন্ডা থানা ঘেরাও করেন আদিবাসীরা। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি।

পুলিশের সঙ্গে বিক্ষুব্ধ আদিবাসীদের খণ্ডযুদ্ধ বাঁধে। বিক্ষোভ চলাকালীন পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট, পাথর ছোঁড়ে বিক্ষুব্ধ আদিবাসীরা। পুলিশের বেশ কয়েকটি গাড়িতে ভাঙচুর চালানো হয়। এই হামলায় আহত হন ১৩ জন পুলিশকর্মী।

জানা যাচ্ছে, পরিস্থিতি সামাল দিতে মহু এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশবাহিনী। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে শূন্যে কয়েক রাউন্ড গুলিও চালায় পুলিশ। কাঁদানে গ্যাসের শেল ফাটানো হয় বলে জানিয়েছেন বাড়গোন্ডা থানার দায়িত্বপ্রাপ্ত আধিকারিক ধর্মেন্দ্র ঠাকুর।

স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশের গুলিতে এক আদিবাসীর মৃত্যু হয়েছে। যদিও মৃত্যুর ঘটনা অস্বীকার করেছে পুলিশ। এই ঘটনার ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নরোত্তম মিশ্র। বৃহস্পতিবার সকালে নিহত মহিলার পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন তিনি।

জানা যাচ্ছে, বুধবার সন্ধ্যায়, গ্রামের বাড়িতেই ২৩ বছর বয়সী এক আদিবাসী মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। পরিবারের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে, ওই মহিলাকে অপহরণের পর ধর্ষণ করেন গ্রামের পতিদার সম্প্রদায়ের এক ব্যক্তি। তার পর তাঁকে খুন করে বাড়ির সামনে ফেলে দিয়ে যান। মহিলার দেহ উদ্ধার হওয়ার পরই আদিবাসীরা অভিযুক্তের গ্রেফতারের দাবি জানিয়ে থানা ঘেরাও করেন। থানার সামনে মহিলার দেহ নিয়ে ধর্নায় বসেন রাতভর। পুলিশ তাঁদের সরিয়ে দিতে গেলেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় বাড়গোন্ডা থানা এলাকা।

মহিলার বাবা দাবি করেছেন, ‘ধামনোদ থেকে আমার মেয়েকে অপহরণ করেছিলেন যদুনন্দন পতিদার। তারপর, গ্রামে গণধর্ষণ করার পর তাঁকে হত্যা করেছেন উনি।’ জানা যাচ্ছে, গত কয়েক বছর ধরে পড়াশোনা সূত্রে ধামনোদে থাকছিলেন আদিবাসী মহিলাটি।

এ নিয়ে ক্ষমতাসীন বিজেপি সরকারকে নিশানা করেছেন কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি কমল নাথ। টুইটারে তিনি লিখেছেন, ‘মহুতে এক আদিবাসী মহিলার গণধর্ষণ ও হত্যা এবং পরবর্তীতে পুলিশের গুলিতে এক আদিবাসী যুবকের মৃত্যুতে আমি দুঃখিত। রাজ্যে যে জঙ্গলরাজ চলছে, এই ঘটনা তারই প্রমাণ!’

প্রতীকী ছবি
মুম্বাইয়ের দোরগোড়ায় 'লং মার্চ', আজই কৃষকদের বৈঠকে বসার ডাক সিন্ধে সরকারের

GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in