
পুরীর ঐতিহ্যবাহী রথযাত্রায় (Puri Rath Yatra) দুর্ঘটনা। মাসির বাড়ি পৌঁছাতেই পারলেন না প্রভু জগন্নাথ। অতিরিক্ত গরম এবং ভিড়ের চাপে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। পদপিষ্টের মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়। যার জেরে আহত হন প্রায় ৭৫০ জন। এর মধ্যে ১২ জনের অবস্থা গুরুতর। তাঁদের চিকিৎসার জন্য আইসিইউ-তে ভর্তি করা হয়েছে।
জানা গিয়েছে, জগন্নাথ, বলরাম ও শুভদ্রার রথ বের হওয়ার আগে থেকেই লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় জমে গ্র্যান্ড রোডে। সেখানেই বলভদ্রের তালধ্বজ রথ টানার সময় পরিস্থিতি গুরুতর হয়ে ওঠে। রথের দড়ি টানার জন্য ভিড় জমান বহু মানুষ। তখনই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যায়।
ভিড়ের চাপে আহত হন ৭৫০ জন। আহতদের মধ্যে ২৩০ জনেরও বেশি ভক্তকে Infectious Disease Hospital-এ ভর্তি করা হয়েছে। ৫২০ জনের জেলা সদর হাসপাতালে (ডিএইচএইচ) চিকিৎসা চলছে। কয়েকজনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে প্রাথমিক চিকিৎসার পর। গুরুতর অসুস্থ একজনকে কটকের এসসিবি মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। ১২ জন রোগী আইসিউতে ভর্তি।
গুরুতর এই পরিস্থিতি সামাল দিতে তৎপর হন নিরাপত্তারক্ষীরা। দ্রুত চিকিৎসার জন্য গ্র্যান্ড রোড বরাবর একটি অ্যাম্বুলেন্স করিডোর তৈরি করা হয়। প্রায় ৬০০ জন স্বেচ্ছসেবক ভিড়ের মধ্যে মানববন্ধন তৈরি করেন অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের সুবিধার্থে।
রথযাত্রার বিশেষ স্বাস্থ্য ব্যবস্থার অংশ হিসেবে, পুরীতে বাইরের জেলা থেকে অতিরিক্ত ৩৭৮ জন ডাক্তার মোতায়েন করা হয়েছিল। এছাড়া ২৬৫টি অতিরিক্ত হাসপাতাল শয্যার ব্যবস্থা করা হয়।
এনিয়ে পুরীর প্রধান জেলা চিকিৎসা কর্তা কিশোর শতপতি জানান, রথযাত্রার সময় অতিরিক্ত ভিড়ের কারণে বেশ কয়েকজন ব্যক্তি ছোটখাটো আঘাত, বমি এবং অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন।
ওড়িশার স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মুকেশ মহালিংর মতে, এবছর আবহাওয়া ভাল হওয়ার কারণে আমরা যা আশা করেছিলাম তার দেড় গুণ লোক বেশী হয়েছে। তীব্র তাপ এবং উচ্চ আর্দ্রতার কারণে মানুস অসুস্থ হয়ে পড়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন