জল সরবরাহের দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠেছে গুজরাট। আন্দোলনে নেমেছেন হাজার হাজার কৃষক। বৃহস্পতিবার উত্তর গুজরাটের বানাসকান্থা জেলার পালানপুরের প্রশাসনের কাছে কৃষকেরা দাবি জানিয়েছেন, জল সঙ্কট মেটাতে অবিলম্বে সরকার যেন নর্মদা নদীর জল কর্মাভাত হ্রদ ও মুক্তেশ্বর বাঁধের মধ্যে সরবরাহের ব্যবস্থা করেন।
জানা যাচ্ছে, ভাদগামসহ পার্শ্ববর্তী মহকুমার ১২৫ টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজারের বেশি কৃষকেরা এদিনের বিক্ষোভ সমাবেশে অংশ নিয়েছিলেন। কৃষক বিক্ষোভের আয়োজক কমিটির সদস্য এম এম গাদভি জানিয়েছেন, ‘অল্প বৃষ্টি এবং মাটির নীচের জলের স্তর আরও গভীরে চলে যাওয়ার জেরে, দুই দশক ধরে এখানকার মানুষেরা তীব্র জল সঙ্কটের মধ্যে পড়েন। তাই এক্ষেত্রে সমাধান হল - দুটি হ্রদে নর্মদা নদীর জল সরবরাহ করে জল সঙ্কট কিছুটা নিবারণ করা।’
জলাধার সম্পর্কে কৃষক নেতারা জানান, কর্মাভাত হ্রদটি প্রায় ৯৮ হেক্টর এলাকা জুড়ে। আর মুক্তেশ্বর বাঁধের জলধারণের ক্ষমতা প্রায় ৩০ মিলিয়ন ঘনমিটার। যদি নর্মদা নদী থেকে জল সরবরাহ করা হয়, তাহলে পাইপলাইনের মাধ্যমে তা সিদ্ধপুর মহাকুমার দিদ্রোল গ্রামের মধ্যে দিয়ে প্রথমে মুক্তেশ্বর বাঁধ এবং সেখান থেকে কর্মাভাত হ্রদে নিয়ে যাওয়া যেতে পারে। বর্তমান সময়ে এই এলাকায় ভূগর্ভস্থ জলের স্তর ৮০০ ফুট।
কৃষকদের এই বিক্ষোভে সমর্থন জানিয়েছেন স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব। বিজেপি নেতা তথা বানসকান্থা দুগ্ধ উৎপাদনকারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শঙ্কর চৌধুরী জানিয়েছেন, "কৃষকরা একদম সঠিক দাবি করেছেন। এই অঞ্চলে জলের সমস্যা দীর্ঘদিনের। বৃষ্টির উপর নির্ভরশীল হওয়ায় এর কোনো স্থায়ী সমাধান নেই। গৃহপালিত পশুদের পর্যন্ত কেনা জল খাওয়াতে হচ্ছে। যদি জলাশয়গুলো নর্দমার জলে ভরা যায় তাহলে এই সমস্যা কিছুটা মিটতে পারে।"
বাবানাসকান্থার কালেক্টর আনন্দ প্যাটেল জানিয়েছেন, "বুধবার মুখ্যমন্ত্রী ভূপেন্দ্র প্যাটেলের সভাপতিত্বে এই নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছিল, সেখানে সেচ ও জল সরবরাহ দপ্তরের ইঞ্জিনিয়াররা উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের প্রযুক্তিগত সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করতে বলা হয়েছে। শীঘ্রই এই সমস্যার সমাধান হবে মনে করা হচ্ছে।"
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।