

সংবাদমাধ্যমে কেন্দ্রের হস্তক্ষেপের কারণেই প্রেস ফ্রীডম ইন্ডেক্সে ভারত ১৫০-এ নেমে গেছে। বিবিসি অফিসে আয়কর বিভাগের অভিযানের জন্য কেন্দ্রের সমালোচনা করে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়।
কংগ্রেসের মিডিয়া বিভাগের চেয়ারম্যান পবন খেরা বলেন, "প্রেস ফ্রিডম ইনডেক্সে ভারতের স্থান ১৫০ তম। ভারতে ২০১৪ থেকে ২০২০ পর্যন্ত ১৩৫ জন সাংবাদিককে গ্রেপ্তার, জিজ্ঞাসাবাদ বা আটক করা হয়েছে। ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত (ফ্রি স্পিচ কালেক্টিভ-এর তথ্য অনুসারে) ভারতে ৩৭ জন সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। ইউনেস্কোর পর্যবেক্ষণ থেকে এই তথ্য জানা গেছে।"
খেরা আরও বলেন, ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে "মোদি সরকার বারবার শ্বাসরোধ করে, মুখ চেপে ধরে, পিষে মারতে চাইছে। কারণ, তাদের মধ্যে কিছু (এবং তাদের মধ্যে একটি খুব ছোটো অংশ) সংবাদমাধ্যম বিজেপির লাইনে যেতে অস্বীকার করেছে"।
"যখন মোদীজি এই দেশের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখছিলেন, তখন তিনি এই বিবিসি-রই একজন নিবেদিতপ্রাণ অনুসারী ছিলেন৷"
"যখন প্রধানমন্ত্রী পুরস্কার পান তখন তিনি সারা বিশ্বে আপনার পিআর মেশিনারি ব্যবহার করে তা নিয়ে গর্ব করেন! এবং যদি একই মিডিয়া আউটলেট, একই আন্তর্জাতিক মিডিয়া যদি আপনার "রেকর্ড" সোজা করে দেখায়, তাহলেই আপনি আপনার ক্ষমতার ঔদ্ধত্য প্রকাশ করেন।”
খেরা বলেন, "যে দল ব্রিটিশদের পা চেটেছিল, যে দলের মতাদর্শর কথা বলা ব্যক্তিরা ব্রিটিশদের ইনফরমার হিসাবে কাজ করেছিল, যখন ভারতীয় জনগণ রাস্তায় শান্তিপূর্ণভাবে তাদের সাথে লড়াই করেছিল তখন যারা ব্রিটিশ মুকুটের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেছিল, তারাই এখন হঠাৎ ব্রিটিশদের বিরুদ্ধে কথা বলতে শুরু করেছে। "কেন? কারণ গুজরাট দাঙ্গায় মোদীজির ভূমিকার আসল সত্য, প্রতিটি ভারতীয়র কাছে জানা, যা এখন আরেকবার উন্মোচিত হয়েছে।”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন