
আগামী ৭ মে ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে দেখা করার কথা ছিল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, ক্যাম্পাসে কোনোরকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি দেওয়া হবে না। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কংগ্রেস নেতার বিশ্ববিদ্যালয়ে আসার অনুমতি খারিজ করে দিয়েছে।
কর্তৃপক্ষের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্টস কলেজের গবেষক কে মানবতা রায় সহ পাঁচজন ছাত্র তেলেঙ্গানা হাইকোর্টে একটি পিটিশন দাখিল করেন। বুধবার এই পিটিশনের শুনানিতে আদালত বলে, এই আলাপচারিতার পিছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য থাকতে পারে। তাছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ে যেহেতু রাজনৈতিক ইভেন্ট নিষিদ্ধ, তাই এই ইভেন্টটিকেও অনুমতি দেওয়া যাবে না। এই যুক্তি দেখিয়ে আদালত সেই পিটিশন খারিজ করে দেয়।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৭ সালেই ওসমানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি নির্দেশিকা জারি করে যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কোনোরকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড চালানো যাবে না।
তাই রাহুল গান্ধীর অনুষ্ঠানের অনুমতি পাওয়ার জন্য মানবতা রায় বাকি চারজন ছাত্রকে সাথে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারকে চিঠি লিখেছিলেন। সেখানে ব্যর্থ হয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন তাঁরা।
পিটিশনকারীরা পিটিশনে জানিয়েছিলেন অ্যাকাডেমিক ইস্যুতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সাথে দেখা করবেন কংগ্রেস নেতা। কিন্তু তেলেঙ্গানা হাইকোর্ট জানায়, অনুষ্ঠানটির ফলে ক্যাম্পাসে "রাজনৈতিক প্রভাব" ছড়িয়ে পড়তে পারে তাই অনুষ্ঠানটি করার অনুমতি দেওয়া যাবে না।
আদালতের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, ছাত্রদের অভাব-অভিযোগ বা বেকারত্ব ইস্যু অ্যাকাডেমিক আলোচনার পরিধির আওতায় আসে না এবং পিটিশনে বেশকিছু তথ্যের অনুপস্থিতি প্রমাণ করে যে সভাটি অ্যাকাডেমিক সংক্রান্ত নয়। ভবিষ্যতে কোনওরকম রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের অনুমতি না দেওয়ার জন্যও বিশ্ববিদ্যালয়কে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন