

বিলকিস বানো গণধর্ষণ মামলায় দুই অভিযুক্তের জামিনের আবেদন খারিজ করল সুপ্রিম কোর্ট। শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জীব খান্না এবং বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চ শুনানিতে জানিয়ে দেয়, ওই দুই অভিযুক্তকে জামিন দেওয়া যাবে না।
গত ৮ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের এক বেঞ্চের রায়কে চ্যালেঞ্জ করে অভিযুক্ত রাধেশ্যাম ভগবানদাস এবং রাজুভাই বাবুলাল অন্য বেঞ্চে অন্তর্বর্তীকালীন জামিনের আবেদন করেছিল। সেই মামলার শুনানি ছিল শুক্রবার। শুনানি চলাকালীন দুই বিচারপতির বেঞ্চ এই আবেদনকে ‘সম্পূর্ণ ভুল’ বলে মন্তব্য করেন।
শীর্ষ আদালত প্রশ্ন করে, "এই আবেদনটি কী? এই আবেদন কীভাবে গ্রহণযোগ্য? এটি একেবারেই ভুল ধারণা। কীভাবে ৩২ নম্বর ধারায় পিটিশন দায়ের করা যেতে পারে? অন্য বেঞ্চের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে আমরা আপিল করতে পারি না।"
এরপর ওই দুই অভিযুক্তের আইনজীবী ঋষি মালহোত্রা এই মামলা প্রত্যাহারের অনুমতি চান। দুই বিচারপতির বেঞ্চ মামলা প্রত্যাহার করে নেওয়ার অনুমতি দেয়।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ১৫ অগাস্ট বিলকিস বানো গণধর্ষণকাণ্ডে দোষী সাব্যস্ত ১১ জনকে জেল থেকে মুক্তি দিয়েছিল গুজরাট সরকার। গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্তে দেশজুড়ে নিন্দার ঝড় ওঠে। শীর্ষ আদালতে একাধিক মামলা দায়ের হয়। আদালত জানিয়ে দেয় গুজরাট সরকারের এই সিদ্ধান্ত ভুল। সকল দোষীকে পুনরায় আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট।
উল্লেখ্য, ২০০২ সালের ৩ মার্চ আহমেদাবাদের কাছে রন্ধিকপুর গ্রামে গণধর্ষণের শিকার হয়েছিলেন বিলকিস বানো। সেই সময় তাঁর বয়স ছিল ২১ এবং তিনি পাঁচ মাসের গর্ভবতী ছিলেন। গোধরায় সবরমতি ট্রেনে আগুন লাগানোর ঘটনায় ছড়িয়ে পড়া সহিংসতা থেকে প্রাণে বাঁচতে পালিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। তাঁর সন্তান সহ তাঁর পরিবারের একাধিক সদস্যকে হত্যা করা হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১১ জনকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন