সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের

এর আগে সিদ্দিকি কাপ্পানকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানোর বিরোধিতা করেছিলেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। যদিও সেই বিরোধিতা অগ্রাহ্য করে আদালত।
সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
ফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

হাথরস কান্ডে গ্রেপ্তার হওয়া কেরলের সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানকে অবিলম্বে দিল্লির হাসপাতালে স্থানান্তরিত করার নির্দেশ দিলো সুপ্রিম কোর্ট। বুধবার শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে সিদ্দিকি কাপ্পানকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানোর বিরোধিতা করেছিলেন উত্তরপ্রদেশ সরকারের পক্ষের আইনজীবী সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহতা। যদিও সেই বিরোধিতা অগ্রাহ্য করে আদালত।

এদিন শীর্ষ আদালতের পক্ষ থেকে বলা হয় – কোভিড আক্রান্ত সিদ্দিকি কাপ্পানকে অবিলম্বে দিল্লির এইমস অথবা রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হবে। গতকালই উত্তরপ্রদেশ সরকারকে সিদ্দিকি কাপ্পানের মেডিকেল রিপোর্ট আদালতে জমা দেবার নির্দেশ দিয়েছিলো শীর্ষ আদালত।

এদিন আদালত আরও জানায়, দিল্লির হাসপাতালে চিকিৎসা করে সুস্থ হয়ে ওঠার পর চিকিৎসক সার্টিফিকেট দিলে তাঁকে আবার মথুরা জেলে ফেরত পাঠানো হবে।

সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানকে দিল্লির হাসপাতালে পাঠানোর নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
কাপ্পানকে 'পশুর মতো চেন দিয়ে বেঁধে রাখা হয়েছে' - স্ত্রীর অভিযোগের পর আদিত্যনাথকে চিঠি পিনারাইয়ের

এর আগে সিদ্দিকি কাপ্পানের পরিবারের প্রতি সহমর্মীতা জানিয়ে নিজের ফেসবুক পোষ্টে কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধী লেখেন, "সিদ্দিকি কাপ্পানের পরিবারের প্রতি আমি আমার সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিচ্ছি। সম্পূর্ণ সুরক্ষা এবং চিকিৎসা সহায়তা প্রাপ‍্য ওনার। সাংবাদিককে এভাবে বাধা দিয়ে বিজেপি-আরএসএস নিজেদের ভীরুতার পরিচয় দিয়েছে। রিপোর্টিং নয়, অপরাধকে থামান।"

গত রবিবার কাপ্পানের স্ত্রী অভিযোগ করেন‌ হাসপাতালের বেডে কাপ্পানকে পশুর মতো বেঁধে রাখা হয়েছে। এই বিষয়ে দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রমানার হস্তক্ষেপ চেয়ে তাঁকে চিঠিও লেখেন তিনি। এরপর কাপ্পানের সঠিক চিকিৎসার দাবিতে উত্তরপ্রদেশের মুখ‍্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথকে চিঠি লেখেন কেরলের মুখ্যমন্ত্রী পিনারাই বিজয়ন।

গত বছর ৫ অক্টোবর উত্তরপ্রদেশের হাথরস যাওয়ার পথে কেরলের‌ সাংবাদিক সিদ্দিকি কাপ্পানকে গ্রেফতার করে যোগী সরকারের পুলিশ। ১৯ বছরের এক দলিত নাবালিকাকে গণধর্ষণ ও হত‍্যার খবর সংগ্রহ করতে হাথরসে যাচ্ছিলেন তিনি। সেদিন থেকেই মথুরার একটি জেলে বন্দি রয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে UAPA আইনে মামলা দায়ের করা হয়। গত ২১ এপ্রিল তাঁর কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ আসে। এরপর মথুরা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় তাঁকে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in