

ভারতের জন্ম নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বিজেপি শাসিত রাজ্যে যে নতুন খসড়া নীতি প্রকাশ করা হয়েছে,তা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন ২ কংগ্রেস নেতা শশী থারুর ও জয়রাম রমেশ।
রমেশ জানিয়েছেন, ২০১৮-১৯ অর্থসমীক্ষায়ে দেখা গিয়েছে, মোদি সরকারের অসুবিধা বাড়তে থাকা জনসংখ্যা নয়। একই মত পোষণ করে শশী থারুরের মত, জন্মনিয়ন্ত্রণের পিছনে জনসংখ্যা বৃদ্ধি নয়, 'রাজনৈতিক ও সাম্প্রদায়িক' ইস্যু রয়েছে। উত্তরপ্রদেশ, অসম ও লাক্ষাদ্বীপের মুসলিম জনসংখ্যাকে নিশানা করেই এমনটা করা হয়েছে। কাকতালিয়ভাবে বেছে বেছে এই তিনটি রাজ্য কখনই হঠাৎ করে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে না। সকলেই জানেন, এই রাজ্যগুলোতে ঠিক কাদের কাদের নিশানা করে এই খসড়া আইন আনা হয়েছে।
উত্তরপ্রদেশে ২ সন্তান নীতির একটি খসড়া আইন আনা হয়েছে। যেখানে উল্লেখ করা হয়েছে, ২ সন্তানের বেশি থাকলে সেই পরিবার সমস্তরকম সরকারি সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হবেন। অসমেও একইভাবে জন্ম নিয়ন্ত্রণে খসড়া আইন আনা হয়েছে।
রমেশ, টুইটে বিজেপিকে বিঁধে বলেন, মোদি সরকারের ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষের রিপোর্ট ঠিক কতজন বিজেপি সাংসদ জানেন তা নিয়ে সংশয় হয়। ২০১৯ সালেই সংসদে এই ইকনমিক সার্ভেটি পেশ করা হয়েছিল। সেই সমীক্ষায় মহিলা ক্ষমতায়ন, ফ্যামিলি প্ল্যানিং, আর্থ সামাজিক পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছিল। জন্ম নিয়ন্ত্রণের বিষয়ে কোনও বিষয় উল্লেখ ছিল না সমীক্ষায়। তারপরেও শুধুমাত্র বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলোতেই জন্ম নিয়ন্ত্রণ খসড়া নীতি প্রয়োগে উঠেপড়ে লেগেছে বিজেপি।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন