কেরালার ভিজিনজামে গৌতম আদানিদের বন্দর তৈরিকে কেন্দ্র করে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষ বেঁধেছে। যার জেরে সংশ্লিষ্ট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে।
সূত্রের খবর, এলাকার মৎস্যজীবিদের একাংশ বন্দরের প্রবেশপথ আটকে আশ্রয়কেন্দ্র গড়ে তোলায় আটকে গিয়েছে বন্দর তৈরির কাজ। ভিতরে যেতে পারছে না পণ্যবাহিত ট্রাক। আর, তা রুখতে তাঁদের উপর চড়াও হয় বন্দর সমর্থকেরা। উভয় গ্রুছই একে অপরের উপর পাথর ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হামলা চালিয়েছে।
জানা যাচ্ছে, যেসমস্ত মৎস্যজীবি বন্দর তৈরির প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তাঁরা সকলেই লাতিন ক্যাথলিক আর্চডায়োসিস-সমর্থক। অন্যদিকে, আদানিদের বন্দর তৈরির পক্ষে দাড়িয়েছে বিজেপি-বিভিন্ন হিন্দু গোষ্ঠীর সদস্যরা। তারাও গোটা এলাকা জুড়ে নিজেদের আশ্রয়কেন্দ্র তৈরি করছে।
এদিন পরিস্থিতি একসময় নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাওয়ার উপক্রম হয়। দুই গোষ্ঠীর মধ্যে সংঘর্ষের মাঝে বাঁধা দিতে এলে- পুলিশের উপর চড়াও হয় বিক্ষোভকারীরা।
তৎক্ষণাৎ, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে এলাকাজুড়ে। দুই গোষ্ঠীর মাঝে দাঙ্গা ঠেকাতে বিশাল ব্যারিকেড গড়ে তোলা হয়েছে। নিরাপরে ট্রাক যাতায়াতের জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গড়ে তোলা হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, মৎস্যজীবিদের অভিযোগ, এই বন্দরের নির্মাণ কাজ শুরু হওয়ার পর উপকূলবর্তী একালায় উল্লেখযোগ্যভাবে ভূমি ক্ষয় শুরু হয়েছে। এর প্রভাব পড়েছে মৎসজীবীদের উপর। ইতিমধ্যে অনেকেই এলাকা ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন।
তাঁদের আরও অভিযোগ, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর থেকে বন্দর নির্মাণের কাজ শুরু হয়েছে। তারপর সামুদ্রিক মাটি অনেকটাই ক্ষয়ে গেছে। ফলে, বিপাকে পড়েছেন মৎস্যজীবীরা। তাঁরা জানিয়েছে, এর উপর প্রায় ৫৬ হাজার মৎস্যজীবি সম্প্রদায় মানুষের জীবিকা নির্ভরশীল। তাই, অবিলম্বে সরকার যেন সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রের উপর বন্দর নির্মাণ এবং স্বাধীন গবেষণা বন্ধ করার নির্দেশ দেয়।
অন্যদিকে, আদানি গ্রুপ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, আইনের সাথে সম্পূর্ণ সম্মতি নিয়ে এই বন্দর নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। পাশাপাশি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি এবং অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের দ্বারা পরিচালিত অনেক গবেষণা উপকূলীয় ক্ষয়ের জন্য প্রকল্পের দায় সম্পর্কিত অভিযোগ প্রত্যাখ্যানও করেছে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।