

ফেসবুক লাইভ চলাকালীন গুলি করে খুন করা হল উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠীর প্রাক্তন নেতার ছেলে অভিষেক ঘোষালকরকে। পরবর্তীতে অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি মৌরিস নোরনহা নিজেও আত্মহত্যা করেন। সূত্রের খবর, ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার দহিসার এলাকার এমএইচবি কলোনি থানার চত্বরে। মুম্বাই পুলিশ সূত্রে খবর, অভিষেক ও মৌরিসের মধ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল। ওই দুই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে, তাঁদের মৃত বলে ঘোষণা করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
অভিষেক ঘোষালকর উদ্ধব গোষ্টির প্রাক্তন নেতা বিনোদ ঘোষালকরের ছেলে। ফেসবুক লাইভ চলাকালীন এই ঘটনা ঘটায় পুরোটাই রেকর্ডেড রয়েছে। ঘটনাটির সঙ্গে সঙ্গে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছায়। জানা গেছে, ওই সময় ওই দুই ব্যক্তির দেহে প্রাণ ছিল। আহত দুজনকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। দুজনেই মারা যান।
ঘটনাটির তদন্ত করছে মুম্বাই পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ডিসিপি রাজ তিলক রোশন বলেন, যে অস্ত্রে খুনটি করা হয়েছে, তার আদৌ বৈধ লাইসেন্স ছিল কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। খুনের কারণ কী? তদন্ত করা হচ্ছে। ডিসিপি জানান, প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে এই দু'জনের মধ্যে কোনও শত্রুতা ছিল এবং সেই কারণেই এই ঘটনা ঘটেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে মৌরিস নোরনহার অফিসে। যিনি মৌরিস ভাই নামে পরিচিত। জানা গেছে, দুজনের মধ্যে বহুদিন ধরেই ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল। সেই শত্রুতা মেটাতেই অভিষেককে অফিসে ডেকেছিল মরিস। ফেসবুক লাইভ চলাকালীন সব কিছু মিটে যাওয়ার কথাই বলছিলেন অভিষেক। কিন্তু তারপরেই আচমকাই গুলি চলে।
এই ঘটনায় মুম্বাইয়ের আইন ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। উদ্ধবের দলের মুখপাত্র আনন্দ দুবে বলেন, “একনাথ শিন্ডে ও দেবেন্দ্র ফডণবীসের মহারাষ্ট্রে কেউই সুরক্ষিত নন। এক জন জনপ্রতিনিধির যদি এই হাল হয়, তবে সাধারণ মানুষের কী হবে? সরকার কি ভয়ের পরিবেশ তৈরি করতে চাইছে রাজ্যে!”
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন