ভয়াবহ বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত তামিলনাড়ু। গতকাল থেকে শুরু হওয়া এই বৃষ্টিতে রাজ্যের একাধিক জেলায় জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। রবিবার সকালে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রাস্তায় নেমে পড়েন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এম কে স্ট্যালিন। বিভিন্ন অঞ্চলে গিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। ২০১৫ সালের পর এইধরণের ভয়াবহ বৃষ্টি এর আগে চেন্নাইতে হয়নি।
ইন্ডিয়া মেটেরোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট, আইএমডি-র পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, আগামী ৪৮ ঘণ্টা ধরে তামিলনাড়ুতে ভারী বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা। উপকূলবর্তী অঞ্চলে এক ঘূর্ণিঝড় ঘনীভূত হওয়ার কারণে এই বৃষ্টিপাত। রাজ্যের চেন্নাই, চেঙ্গালপেট্টু, থিরুভাল্লুর, কাঞ্চীপুরম, ভিল্লুপুরম, মিলাদুথুরাই, থিরুয়াভুর জেলার ভারী বৃষ্টিপাত হয়েছে।
প্রবল ঘূর্ণিঝড়ের কারণে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে রাজ্যের পরিবহণ ব্যবস্থা। শনিবার সারা রাতের বৃষ্টিতে বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যাওয়ায় রাজ্য পরিবহণের প্রায় ৬০ শতাংশ বাস নির্ধারিত সময় অনুসারে চলাচল করতে পারছেনা। জল জমে গেছে চেন্নাইয়ের টি নগর, আদিয়ার, ভেলাচেরি, মিলাপুর, রোয়াপুরম, টিনামপেট, মাধভারম প্রভৃতি এলাকায়।
রবিবার সকালের হিসেব অনুসারে চেন্নাইতে বৃষ্টি হয়েছে ২০৭ মিলিমিটার। নুঙ্গাবক্কম-এ ১৪৫ মিলিমিটার, ভিল্লিভক্কমে ১৬২ মিলিমিটার এবং পুজহালে ১১১ মিলিমিটার। এছাড়াও মিলাপুরে ২২৬ মিলিমিটার, আম্বাত্তুরে ২০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। তামিলনাড়ু ওয়েদারম্যান প্রদীপ জন এক ট্যুইটে জানিয়েছেন, উত্তর ও মধ্য চেন্নাইতে ২০১৫ সালের পর এটাই সর্বাধিক বৃষ্টিপাত।
প্রবল বৃষ্টিপাতের মাঝেই পুজহাল জলাধার থেকে এদিন সকাল ১১টায় ৫০০ কিউসেক জল ছাড়া হয়েছে। যা নিয়ে উদ্বেগ বেড়েছে সাধারণ মানুষের। জল ছাড়ার আগে রাজ্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।