
নিয়োগ প্রক্রিয়া নিয়ে ফের স্কুল সার্ভিস কমিশনকে ভর্ৎসনা করলো সুপ্রিম কোর্ট। শীর্ষ আদালতে ফের একবার নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। পাশাপাশি, আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করে জানিয়েছে, কমিশন নিজের দায়িত্ব পালন করেনি বলেই এত বড় দুর্নীতি। এছাড়া স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বর নিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়া যাবে বলেও এদিন জানিয়েছে আদালত। অভিযোগ উঠেছে, দাগীরাও নিয়োগ প্রক্রিয়ায় ফর্ম ফিলাপ করেছেন।
এসএসসির নয়া নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রথম থেকেই স্বচ্ছতার উপর জোর দিয়ে আসছে সুপ্রিম কোর্ট। বৃহস্পতিবার ছিল এই মামলার শুনানি। এদিন ফের একবার কমিশনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিচারপতিরা। আদালত জানিয়েছে, ‘দাগী’ বলে চিহ্নিত নন যে সমস্ত শিক্ষকরা, তাঁদের ক্ষেত্রে কার্ট অফ মার্কস হিসেবে স্নাতক এবং স্নাতকোত্তর স্তরে ৪৫ শতাংশ নম্বরই কার্যকর হবে। ২০২৫ সালের পরীক্ষায় ৫০ শতাংশ কার্ট অফ মার্কস এঁদের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না বলে স্পষ্ট জানায় আদালত।
তখন আবেদনের শেষ তারিখ পেরিয়ে গেছে বলে সুপ্রিম কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। এতে আদালত জানায়, কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকারা ফর্ম ফিলআপের জন্য আরও দশ দিন সময় পাবেন। সেক্ষেত্রে পরীক্ষার দিন পিছোতে হলে এসএসসিকে সেই বিষয়ে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এব্যাপারে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি।
এদিন আদালতে যোগ্য প্রার্থীরা জানান, আদালতের নির্দেশ অমান্য করে দাগীরা ফর্ম জমা দিয়েছে। এরপরেই নিয়োগ প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে আদালত। বিচাপতিরা বলেন, “স্বচ্ছতার জন্যই তো ২০১৬ সালের প্যানেল বাতিল হয়েছিল? সত্যি যদি এমনটা হয়, তা দুর্ভাগ্যজনক। এমনটা যেন না হয়। স্বচ্ছতার জন্য আদালত যা বলেছে, তা মেনে চলতে হবে।“
এছাড়া পরীক্ষা পিছিয়ে পুজোর পর করার আর্জি জানান যোগ্য শিক্ষকরা। যদিও সেব্যাপারে আদালত হস্তক্ষেপ করেনি। বরং কমিশনকেই সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন