
দিল্লির বাতাসের গুণগত মান নিয়ে সতর্ক করলেন ২০২৩ সালে ভারতে অনুষ্ঠিত জি২০ সম্মেলনের শেরপা তথা কেন্দ্রের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক নীতি আয়োগের প্রাক্তন সিইও অমিতাভ কান্ত। পাশাপাশি বাজি পোড়ানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের অনুমতির তীব্র ভর্ৎসনা করলেন তিনি।
দিল্লির দূষণ নিয়ে বরাবরই সরব হন পরিবেশবিদরা। দীপাবলির সময় বাজি ফাটানোর পর বাতাসের গুণমান নিয়ে আরও উদ্বেগ বাড়ে। সোমবার রাতে অবিরাম বাজি ফাটার পর রাজধানীতে বিষাক্ত বাতাসের স্তর জমা হয়েছে। কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ডের তথ্যানুযায়ী মঙ্গলবার দুপুর ১টায় দিল্লিতে বাতাসের গুণগত মান (AQI) ৩৫৭ ছিল। যা 'খুব খারাপ' বিভাগের অন্তর্গত। যা নিয়ে সরব হয়েছেন অমিতাভ কান্ত।
এক্স মাধ্যমে তিনি বলেন, "দিল্লির বাতাসের গুণগত মান খারাপ অবস্থায় রয়েছে। ৩৬/৩৮টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র 'রেড জোনে' পৌঁছেছে। AQI ৪০০-এর উপরে। মাননীয় সুপ্রিম কোর্ট তার নির্দেশে, শ্বাস নেওয়ার অধিকারের চেয়ে বাজি পোড়ানোর অধিকারকে অগ্রাধিকার দিয়েছে।
তিনি আরও বলেন, "দিল্লি বিশ্বের সবচেয়ে দূষিত রাজধানীগুলির মধ্যে একটি। যদি লস অ্যাঞ্জেলস, বেজিং এবং লন্ডন করতে পারে, তাহলে দিল্লি কেন পারবে না? কেবলমাত্র নির্মম এবং কঠোর পদক্ষেপই দিল্লিকে এই স্বাস্থ্য ও পরিবেশগত বিপর্যয় থেকে বাঁচাতে পারে।"
পাশাপাশি তিনি লেখেন, "একটি ঐক্যবদ্ধ কর্মপরিকল্পনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ - ফসল ও জৈব বস্তু পোড়ানো বন্ধ করা, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র এবং ইটভাটাগুলিকে পরিষ্কার প্রযুক্তির মাধ্যমে বন্ধ বা আধুনিকীকরণ করা, ২০৩০ সালের মধ্যে সমস্ত পরিবহনকে বৈদ্যুতিক ব্যবস্থায় স্থানান্তর করা, সম্পূর্ণ বর্জ্য পৃথকীকরণ এবং প্রক্রিয়াকরণ নিশ্চিত করা এবং দিল্লিকে সবুজ, হাঁটার উপযোগী, পরিবহন-কেন্দ্রিক জীবনযাত্রার উপর ভিত্তি করে পুনর্গঠন করা। কেবলমাত্র এই ধরনের সিদ্ধান্ত এবং তার বাস্তবায়নই শহরের নীল আকাশ এবং শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য বাতাস পুনরুদ্ধার করতে পারে।"
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শুরুতে বাজি ফাটানোর উপর নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় সুপ্রিম কোর্ট এবং নির্দেশ দেয় দিল্লির বসিন্দারা পরিবেশ বান্ধব (Green Crackers) বাজির মাধ্যমে দীপাবলি উদযাপন করতে পারবেন। তার সময়ও নির্ধারিত ছিল। সকাল ৬টা থেকে ৭টা এবং সন্ধ্যা ৮টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত বাজি ফাটানোর সময়সীমা ছিল।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন