
স্থগিত করা হল মক ড্রিল। বৃহস্পতিবার পাক সীমান্ত বরাবর পাঁচ রাজ্যে অসামরিক মহড়া বা মক ড্রিল হওয়ার কথা ছিল। তালিকায় ছিল গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, জম্মু ও কাশ্মীর এবং পাঞ্জাব। বুধবারই একথা ঘোষণা করা হয়েছিল। তবে ওইদিন রাতেই ফের জানানো হয়েছে, নির্ধারিত মক ড্রিল আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। পরে করা হবে এই মক ড্রিল।
গুজরাট, রাজস্থান এবং জম্মু ও কাশ্মীরের তরফে জানানো হয়েছে, প্রশাসনিক কারণে এই মক ড্রিল স্থগিত করা হয়েছে। কবে এই মক ড্রিল হবে, তা পরে জানানো হবে। তবে পাঞ্জাব সরকারের পক্ষ থেকে ৩ জুন মক ড্রিলের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্র এই মহড়ার নাম রেখেছে ‘অপারেশন শিল্ড’।
পাকিস্তানের সঙ্গে সংঘর্ষ চলাকালীন এই পাঁচ রাজ্যে ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। ড্রোন হামলা, ব্ল্যাক আউটের মতো ঘটনা দেখেছে সাধারণ মানুষ। ঘর বাড়ি নষ্ট হয়েছে, মৃত্যুও হয়েছে সাধারণ মানুষের। সংঘর্ষ বিরতি হলেও ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক এখনও উন্নতি হয়নি। এই আবহে নাগরিকদের যেকোনও পরিস্থিতির জন্য তৈরি রাখতেই এই মহড়া করা হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শুধু নাগরিক সুরক্ষার জন্য নয়। বিপর্যয় মোকাবিলার উদ্দেশ্যেও এই আয়োজন করা হয়। ভূমিকম্প, বন্যা, রাসায়নিক বিপর্যয়, সন্ত্রাসবাদী হামলার ক্ষেত্রেও সাধারণ মানুষকে সতর্ক করতে, তাদের বিপর্যয়ের মোকাবিলার জন্য প্রস্তুত করতে ‘মক ড্রিল’ আয়োজন করা হয়।
এর আগে গত ৭ মে মক ড্রিল করা হয় দেশের কয়েকটি জেলায়। ছাত্র ছাত্রীদেরও এই মহড়ার অংশ করা হয়। তার আগের দিন গভীর রাতে অর্থাৎ ৬ মে 'অপারেশন সিঁদুর' অভিযান চালায় ভারতীয় সেনা। পাকিস্তান এবং পাক অধিকৃত কাশ্মীরে থাকা ৯টি জঙ্গিঘাঁটি গুড়িয়ে দেওয়া হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় সারা দেশ জুড়ে নাগরিক সুরক্ষার জন্য করা হয়েছিল "মক ড্রিল"। সেটাই ছিল প্রথম বার। তারপর থেকে আর কখনও মক ড্রিল হয়নি।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন