Stampede: বেঙ্গালুরু-কান্ডের সাথে কুম্ভে পদপিষ্টের তুলনা টানলেন সিদ্দারামাইয়া! পাল্টা কটাক্ষ বিজেপির

People's Reporter: সাংবাদিক বৈঠকে কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, কুম্ভমেলাতেও ৫০-৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল।
প্রহ্লাদ জোশী (বাঁদিকে), সিদ্দারামাইয়া (ডানদিকে)
প্রহ্লাদ জোশী (বাঁদিকে), সিদ্দারামাইয়া (ডানদিকে)ছবি - সংগৃহীত
Published on

বেঙ্গালুরুর পদপিষ্টের ঘটনার সাথে কুম্ভমেলার তুলনা টানলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। সাংবাদিক বৈঠকে তিনি উত্তরপ্রদেশের প্রয়াগরাজের ঘটনা মনে করিয়ে দিয়ে বলেন, কুম্ভমেলাতেও ৫০-৬০ জনের মৃত্যু হয়েছিল। মুখ্যমন্ত্রীর এহেন মন্তব্যের পাল্টা কর্ণাটকের প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, এই ঘটনার সঙ্গে কুম্ভের তুলনা টানা চলে না।

দীর্ঘ ১৭ বছর অপেক্ষার পর ট্রফি জিতেছে বেঙ্গালুরু। প্রিয় দলের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিতে বুধবার বেঙ্গালুরুর চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন লক্ষ লক্ষ সমর্থক। সেখানেই পদপিষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় ১১ জনের। আহত হন ৫০ জন। স্টেডিয়ামের ভিতরে দর্শক আসন ছিল ৩৩ হাজার। কিন্তু সেখানে মানুষ এসেছিল তিন লক্ষেরও বেশি। ফলে স্টেডিয়ামের গেটের সামনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়।

অভিযোগ উঠছে, দুর্ঘটনার কথা জানা সত্ত্বেও ডি কে শিবকুমার চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে কোহলিদের সাথে উদযাপনে ব্যস্ত ছিলেন। মাঠের মাঝে তৈরি মঞ্চে আইপিএল জয়ীদের সাথে ছবি তুলছিলেন তিনি। তখন স্টেডিয়ামের বাইরে আহতদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার জন্য একের পর এক অ্যাম্বুল্যান্স আসছে। প্রশ্ন উঠেছে কর্ণাটক সরকারের চূড়ান্ত অব্যবস্থা নিয়ে।

ঘটনার পর বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া। তিনি বলেন, “এই ধরনের ঘটনা বহু জায়গায় ঘটেছে। আমি সেগুলির তুলনা টেনে ঘটনার সমর্থনে কথা বলতে চাইছি না। কুম্ভমেলাতেও ৫০-৬০ জন মারা গিয়েছেন। আমি কিন্তু সমালোচনা করিনি। কংগ্রেস যদি সমালোচনা করে থাকে, তাহলে সেটা আদালা বিষয়। কিন্তু আমি কি সমালোচনা করেছি?” পাশাপাশি, নিহতদের পরিবারের জন্য ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ এবং আহতদের জন্য বিনামূল্যে চিকিৎসা পরিষেবার কথা ঘোষণা করেছেন তিনি।

এর পাল্টা কর্ণাটকের প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রহ্লাদ জোশী বলেন, "এই ঘটনার সঙ্গে কুম্ভের তুলনা চলে না। কুম্ভের ঘটনার সময় অত্যন্ত সংবেদনশীলতার সঙ্গে পরিস্থিতির মোকাবিলা করা হয়েছিল। কেউ সেল্‌ফি তুলছিল না"।

এরপরেই তিনি প্রশ্ন তোলেন, "পুলিশ অনুমতি না দেওয়ার পরেও, কেন এত মানুষকে স্টেডিয়ামে ঢুকতে দেওয়া হল? সিদ্দারামাইয়ার কাছে আমার দ্বিতীয় প্রশ্ন হলো, মৃত্যুর পরও উদযাপন চালিয়ে যাচ্ছেন কী করে? উপ-মুখ্যমন্ত্রী (ডিকে শিবকুমার) কেন তাঁদের রিসিভ করতে গেলেন?"

অন্যদিকে, এই ঘটনায় ক্ষমা চেয়েছেন কর্ণাটকের উপ-মুখ্যমন্ত্রী ডিকে শিবকুমার। পাশাপাশি, এই ঘটনাতে রাজনীতিকরণের জন্য বিজেপিকে দায়ী করেছেন তিনি।

প্রহ্লাদ জোশী (বাঁদিকে), সিদ্দারামাইয়া (ডানদিকে)
সকলের বয়স ৪০-র নীচে, পদপিষ্ট হয়ে মৃতদের তালিকায় ১৩ বছরের এক কিশোরী! বেঙ্গালুরুতে শোকের ছায়া

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in