

নিট দুর্নীতি এবং নেট বাতিলের প্রতিবাদে ছাত্র ধর্মঘটের ডাক দিল সিপিআইএমের ছাত্র সংগঠন এসএফআই। আগামী ৪ জুলাই দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে এসএফআই। সংগঠনের পক্ষ থেকে ওই দিন দেশের সমস্ত প্রান্তের পড়ুয়াদের ক্লাস বয়কট করে মিছিলে শামিল হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
আগামী ৪ জুলাইয়ের ধর্মঘটে এসএফআইয়ের পক্ষ থেকে জাতীয় স্তরের ভর্তির পরীক্ষা নিয়ামক সংস্থা এনটিএ-কে ভেঙে দেওয়া, কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধানের পদত্যাগ, যাঁরা সম্প্রতি নেট ও নিট পরীক্ষা দিয়েছেন, তাঁদের ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মতো মোট ৭ দফা দাবি সামনে রাখা হয়েছে। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস এবং সর্বভারতীয় সভাপতি ভিপি সানু ৪ জুলাই এই ধর্মঘটে যোগ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সব ছাত্রছাত্রীকে।
এসএফআই বলেছে, ‘‘পরপর ঘটনায় এনটিএ’র অপদার্থতা বেআব্রু হয়েছে। কয়েক বছর ধরেই লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রী পরীক্ষার কেন্দ্রীকরণে উদ্বেগ জানিয়েছে। যার হাত ধরে বেসরকারিকরণ, প্রবেশিকা বা এন্ট্রান্সে কোচিং সেন্টারের দাপট বেড়েছে। ‘এক দেশ, একটিই পরীক্ষা’ স্লোগান তুলে পরীক্ষা পদ্ধতিকেই বিপর্যস্ত করা হয়েছে। লক্ষ লক্ষ ছাত্রছাত্রীদের ভবিষ্যৎ অনির্দিষ্ট সময়ের জন্য ঝুঁকির মধ্যে ফেলা হয়েছে।’’
প্রসঙ্গত, গত ৪ জুন নিটের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা যাচ্ছে ৬৭ জন পরীক্ষার্থী ৭২০ নম্বরের মধ্যে ৭২০ নম্বরই অর্জন করেছে। আবার এমন অনেক পরীক্ষার্থী রয়েছে যারা ৭১৭, ৭১৮ নম্বর পেয়েছে। কিন্তু নেগেটিভ মার্কিং দিলে ৭১৭ বা ৭১৮ নম্বর কোনোভাবেই একজন পরীক্ষার্থী পেতে পারে না। এনটিএ জানিয়েছিল ওই প্রার্থীদের গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছে। তারপরই দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আদালতে মামলা দায়ের হয়।
অন্যদিকে, গত ১৮ জুন দেশ জুড়ে ইউজিসি নেট পরীক্ষা হয়। প্রায় ৯ লক্ষ পরীক্ষার্থী তাতে অংশ নিয়েছিলেন। কিন্তু ১৯ জুন রাতে সরকার জানিয়ে দেয়, পরীক্ষাটি বাতিল করা হয়েছে। পরীক্ষার স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন ওঠার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রক।
এছাড়া, ২২ জুন সিএসআইআর ইউজিসি নেট পরীক্ষা স্থগিত করার কথা ঘোষণা করা হয়। ২৫ এবং ২৭ জুন পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিল। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি যাতে সৃষ্টি না হয় সেই কারণে স্থগিত রাখা হয় বলে কর্তৃপক্ষ জানায়।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন