
শুক্রবার সপ্তাহের কেনাবেচার শেষ দিনে আবারও বড়ো ধস শেয়ার বাজারে। প্রায় মুহূর্তের মধ্যেই এদিন বাজার থেকে কার্যত উড়ে গেছে বিনিয়োগকারীদের ৭ লক্ষ কোটি টাকা। সেনসেক্স ১১০০ পয়েন্ট নামবার পাশাপাশি নিফটি পড়েছে প্রায় ৩৫০ পয়েন্ট। এদিনই নিফটি পৌঁছেছে গত ৯ মাসের সর্বনিম্ন স্তরে। ভেঙে দিয়েছে ২২,২৫০ পয়েন্টের স্তর।
বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স দাঁড়িয়ে ছিল ৭৪,৬১২.৪৩। শুক্রবার সকালে বাজার খোলে প্রায় ৪০০ পয়েন্ট নেমে ৭৪,২০১.৭৭ পয়েন্টে। একসময় ৭৪,২৮২.৪৩ পয়েন্টে পৌঁছলেও এরপরেই পড়তে শুরু করে সেনসেক্স। যা নামে ৭৩,৫৩৮.৯৫ পয়েন্ট পর্যন্ত। যা এই খবর লেখার সময় পর্যন্ত এদিনের ডে লো। বেলা সাড়ে বারোটার সময় ৯৬৫.১৫ পয়েন্টে নেমে সেনসেক্স দাঁড়িয়ে আছে ৭৩,৬৪৭.২৮ পয়েন্টে।
নিফটির ক্ষেত্রেও অবস্থা প্রায় একই। বৃহস্পতিবার বাজার বন্ধের সময় নিফটি দাঁড়িয়ে ছিল ২২,৫৪৫.৩৫ পয়েন্টে। যা এদিন বাজার খোলার সময় হয় ২২,৪৩৩.৪০ পয়েন্ট। একসময় ২২,৪৫০.৩৫ পয়েন্টে পৌঁছে গেলেও বাজারে বিক্রির চাপে নিফটি নেমে যায় ২২,২১৭.৫০ পয়েন্টে। যা এখনও পর্যন্ত এদিনের ডে লো। বেলা সাড়ে বারোটার সময় নিফটি ২৯৭.৭০ পয়েন্টে নেমে দাঁড়িয়ে আছে ২২,২৪৭.৩৫ পয়েন্টে।
শুক্রবার সকাল ১০ টা ৩ মিনিটে ১,০০০.৬৪ পয়েন্ট বা ১.৩৫% নেমে যায় সেনসেক্স। নিফটি নামে ৩১৬.২৫ পয়েন্ট বা ১.৪ শতাংশ। এদিন এখন পর্যন্ত শেয়ার বাজারে ২,৬৬১টি শেয়ারের দাম পড়েছে এবং দাম বেড়েছে ৫১৭টি শেয়ারের। ১০৭ টি শেয়ারের দাম অপরিবর্তিত আছে। শুধুমাত্র ফেব্রুয়ারি মাসেই এখনও পর্যন্ত নিফটি ৫০-র পতন হয়েছে ৫ শতাংশর কাছাকাছি। টানা ৫ মাস ধরে নিফটির পতন অব্যাহত। যা বিগত ২৯ বছরের রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
এদিন বাজারে বড়ো পতন ঘটেছে ইন্দাসইন্দ ব্যাঙ্ক, ইনফোসিস, টাটা স্টিল, টাটা মোটরস, মারুতি, এইচ সি এল টেক, মাহিন্দ্রা অ্যান্ড মাহিন্দ্রা, টেক মাহিন্দ্রা প্রভৃতি শেয়ারের। দাম বেড়েছে এইচ ডি এফ সি ব্যাঙ্ক, রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ প্রভৃতি শেয়ারের।
আন্তর্জাতিক বাজারে এদিনও পতন ঘটেছে ভারতীয় টাকার দরে। এদিনের বাজারে ১ মার্কিন ডলারের অনুপাতে ভারতীয় টাকার দাম দাঁড়িয়েছে ৮৭ টাকা ৩৮ পয়সায়।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন