
ফের বিজেপি শিবিরে আঘাত হানল কংগ্রেস। এবার দলত্যাগ করলেন তেলেঙ্গানার বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা তথা প্রাক্তন কংগ্রেস নেতা এ চন্দ্রশেখর। রাজ্য কংগ্রেস সূত্রে খবর, বিজেপি ছেড়ে ফের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার তোড়জোড় করছেন তিনি।
শনিবারই তিনি তেলেঙ্গানা বিজেপির সভাপতি জি কিষাণ রেড্ডির কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছেন। এরপর রবিবারই তেলেঙ্গানার কংগ্রেস সভাপতি এ রেভান্থ রেড্ডি তাঁর সঙ্গে দেখা করে তাঁকে ফের কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান।
তেলেঙ্গানার বিজেপি সভাপতির কাছে জমা দেওয়া পদত্যাগপত্রে চন্দ্রশেখর নতুন রাজ্য হিসেবে তেলেঙ্গানার আত্মপ্রকাশের এক দশক পরেও সে রাজ্যের কৃষক ও বেকার যুবকদের স্বপ্ন অপূর্ণ থেকে যাওয়ার অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁর মতে, কেন্দ্রে ক্ষমতায় থাকার সুবাদে তেলেঙ্গানার মানুষকে সঠিক বিচার ও কেসিআর সরকারের জনবিরোধী নীতির বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াবে বিজেপি; এই ভাবনা নিয়ে অনেক নেতাই বিভিন্ন দল থেকে একসময় বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন। কিন্তু রাজ্য জুড়ে দুর্নীতি আর অরাজকতা দেখার পরও বিআরএস সরকারকে কোনঠাসা করতে পারেনি বিজেপি।
এদিকে সদ্য বিজেপিত্যাগী নেতার ফের কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নিয়ে তেলেঙ্গানার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি এ রেভান্থ রেড্ডি জানিয়েছেন, “উনি অনেক আশা নিয়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছিলেন এই ভেবে যে বিজেপি এই রাজ্যের বিআরএস সরকারের দুর্নীতি ও স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে লড়াই করবে। কিন্তু উনি আশাহত হয়েছেন। বিজেপি আর বিআরএস আসলে একই। আর এখন কেসিআর-বিরোধী রাজনৈতিক শক্তিদের এক ছাতার তলায় আনতে চাই আমরা। সেই জন্যই ওঁকে আবার কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছি এবং উনি সেই আমন্ত্রণ গ্রহণও করেছেন।”
এ চন্দ্রশেখর তেলেগু দেশম পার্টির হয়ে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের ভিকারাবাদ বিধানসভা কেন্দ্র থেকে ১৯৮৫ সালে প্রথমবার বিধায়ক হিসেবে নির্বাচিত হন। এরপর টিডিপি-এর হয়ে পরপর ৪ বার তিনি ওই কেন্দ্র থেকেই বিধায়ক নির্বাচিত হন। এরপর ২০০৪ সালে কে. চন্দ্রশেখরের ভারত রাষ্ট্র সমিতিতে (তৎকালীন তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতি) যোগ দিয়ে আবার জিতে অবিভক্ত অন্ধ্রপ্রদেশের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নেন। তারপর ২০০৯ সালের নির্বাচনে হেরে গিয়ে তিনি ২০১৩ সালে কংগ্রেসে যোগ দেন এবং ২০২০ সালে কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপি শিবিরে গিয়ে নাম লেখান। এবার সেই বিজেপি ছেড়ে আবার পুরনো আস্তানা কংগ্রেসে ফেরার পথে এই নেতা।