

তৃণমূল বিধায়কের গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হলো এক স্কুটিচালকের। গুরতর আহত হয়েছেন অন্য একজন। ইতিমধ্যেই পুলিশ এই ঘটনায় মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে। বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বিধায়কের গাড়িও।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার, ওড়িশার বালাসোর জেলার সোরো এলাকার জামুঝাড়ির কাছে ১৬ নম্বর জাতীয় সড়কে। অভিযোগ, পশ্চিমবঙ্গের হাওড়া উত্তরের তৃণমূল কংগ্রেস বিধায়ক গৌতম চৌধুরীর মাহিন্দ্রা XUV700 গাড়ি তীব্র গতিতে এসে আচমকা একটি স্কুটিকে ধাক্কা মারে। গাড়ির গতি অনেক বেশি ছিল বলে জানা যায়। দুর্ঘটনার সময় বিধায়ক গাড়িতেই ছিলেন।
একটি ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, স্কুটির আরোহী রাস্তায় পড়ে রয়েছেন, গাড়ির বাম্পার ক্ষতিগ্রস্ত এবং বাম দিকের হেডলাইট ভেঙে গেছে। নিহত ব্যক্তির নাম রাধাকান্ত লেনকা (৫০)। তিনি সজনপুর গ্রামের বাসিন্দা। বাসুদেবপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে পিওন হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, বিধায়ক ঘটনার সময় গাড়ির ভিতরেই উপস্থিত ছিলেন। সংঘর্ষের পর গাড়িটি দ্রুত ঘটনাস্থল ছেড়ে পালানোর চেষ্টা করলেও কিছু মিটার দূরে গিয়ে থেমে যায়।
স্থানীয় বাসিন্দারা দ্রুত আহতদের সিমুলিয়ার একটি হাসপাতালে নিয়ে যান। কিন্তু রাধাকান্ত লেনকাকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল চত্বরে। লেনকার পরিবারের সদস্যরা দ্রুত বিধায়ক এবং তাঁর চালককে গ্রেপ্তারের দাবি জানান। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
দুর্ঘটনার পর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় পুলিশ। পুলিশের এক আধিকারিক জানান, চালককে আটক করা হয়েছে। বিধায়কের গাড়িও বাজেয়াপ্ত হয়েছে।
সূত্রের খবর, রথের জন্য পুরী গিয়েছিলেন তৃণমূল বিধায়ক। সেখান থেকেই হাওড়া ফিরছিলেন তিনি। দুর্ঘটনার পর অন্য একটি গাড়ি করে পশ্চিমবঙ্গে ফেরেন তিনি বলে খবর।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন