
লালু প্রসাদ যাদবের শাস্তির মেয়াদ বাড়ানোর আবেদনে সহমত পোষণ করলো ঝাড়খন্ড হাই কোর্ট। বুধবার সিবিআই-এর করা আবেদনে এই মত জানিয়েছে আদালত। দেওঘর ট্রেজারি মামলায় এর আগে আরজেডি প্রধান লালু প্রসাদ যাদবের সাড়ে তিন বছর কারাবাসের সাজা হয়েছিল। এই ঘটনার সময় ঝাড়খন্ড বিহারের অংশ ছিল।
এই মামলায় এর আগে স্পেশাল সিবিআই কোর্ট লালু প্রসাদ যাদবকে সাড়ে তিন বছরের কারাদন্ডের আদেশ দেয়। যদিও এই নির্দেশের বিরুদ্ধে আপিল করে সিবিআই এবং জানায় অভিযোগের গুরুত্ব অনুসারে শাস্তির মেয়াদ খুবই কম। কারণ এই সময়েই পশুখাদ্য বিভাগের দায়িত্বেও ছিলেন লালুপ্রসাদ স্বয়ং।
সিবিআই-এর দাবি, দেওঘর ট্রেজারি সম্পর্কিত পুরো বিষয়টিই অবগত ছিলেন লালু প্রসাদ যাদব। যদিও নিম্ন আদালত তাঁকে মাত্র সাড়ে তিন বছরের কারাদন্ড দিয়েছে। এই ধরণের মামলায় যা সর্বাধিক সাত বছর হওয়া উচিত। সিবিআই-এর এই আবেদনেই সহমত পোষণ করেছে ঝাড়খন্ড আদালতে বিচারপতি রঙ্গন মুখোপাধ্যায় ও বিচারপতি অম্বুজ নাথ-এর ডিভিশন বেঞ্চ।
২০১৮ সালের দেওঘর ট্রেজারি কান্ডে ৮৯ লক্ষ টাকা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল। দেওঘর ট্রেজারি কান্ডে লালুপ্রসাদ যাদব সহ যে ৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল তাঁদের মধ্যে আর কে রানা, ফুলচাঁদ এবং মহেশ প্রসাদ মারা গেছেন। লালুপ্রসাদ সহ বাকি তিন অভিযুক্ত বেঁচে আছেন। যারা হলেন, সুবীর ভট্টাচার্য ও জুলিয়াস বেক। এই তিনজনের ক্ষেত্রেই শাস্তি বাড়ানোর পক্ষে আবেদন জানায় সিবিআই।
এই ঘটনা প্রসঙ্গে লালুপ্রসাদ যাদবের আইনজীবী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, পশুখাদ্য কেলেঙ্কারির সবকটি মামলা থেকেই লালু প্রসাদ যাদব জামিন পেয়েছেন। যার মধ্যে আছে দুমকা, চাইবাসা, দোরান্ডা এবং দেওঘর। তাঁর জামিন পাবার কারণ তিনি ইতিমধ্যেই তাঁর মোট প্রাপ্ত সাজার অর্ধেকের বেশি কাটিয়ে দিয়েছেন।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন