
সুপ্রিম কোর্টে তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়লো উত্তরপ্রদেশ সরকার (Uttar Pradesh Govt)। ধর্মান্তর বিরোধী আইনে গ্রেপ্তার হওয়া এক অভিযুক্তকে জামিন দেওয়ার দু মাস পরও জেলমুক্তি না হওয়ায় অসন্তোষ প্রকাশ করল দেশের শীর্ষ আদালত।
গত ২৯ এপ্রিল অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর হয়। কিন্তু প্রায় দু'মাস পরও তাঁর জেলমুক্তি হচ্ছিল না। বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এই নিয়ে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেছে। অভিযুক্তকে ৫ লাখ টাকা অন্তর্বর্তী ক্ষতিপূরণ দেওয়ার জন্য রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত।
বিচারপতি কে ভি বিশ্বনাথন এবং বিচারপতি এন কোটীশ্বর সিং-এর বেঞ্চ জানায়, অভিযুক্তকে ২৪ জুন গাজিয়াবাদ জেলা কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তার জামিন ২৯ এপ্রিল মঞ্জুর হয়েছিল।
“আপনার অফিসারদের সংবেদনশীল করতে কী ব্যবস্থা নিচ্ছেন?”—ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে হাজির হওয়া উত্তর প্রদেশের জেলের ডিজিকে প্রশ্ন করে বেঞ্চ।
বিচারপতিরা বলেন, সংবিধানের ২১ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী ব্যক্তি স্বাধীনতা একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও মূল্যবান অধিকার। যা কোনওভাবেই লঙ্ঘনযোগ্য নয়।
রাজ্যের পক্ষে থাকা আইনজীবী আদালতে জানান, অভিযুক্তকে মঙ্গলবার মুক্তি দেওয়া হয়েছে এবং বিলম্বের কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে শীর্ষ আদালত নির্দেশ দেয়, তদন্তটি গাজিয়াবাদের প্রধান জেলা ও দায়রা বিচারক দ্বারা পরিচালিত হতে হবে এবং রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে।
আদালত জানায়, ২৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট জামিন মঞ্জুর করার পর গাজিয়াবাদ ট্রায়াল কোর্ট ২৭ মে অভিযুক্তকে ব্যক্তিগত বন্ডে মুক্তির নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর হতে এক মাসের বেশি সময় লেগে যায়। এখানে স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছে গাফিলতি হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন