

লোকসভা ভোটের আবহে দলবিরোধী মন্তব্যের জন্য বুধবার রাতেই ছ’বছরের জন্য কংগ্রেস থেকে বহিষ্কৃত করা হয়েছিল দলের প্রাক্তন সভাপতি সঞ্জয় নিরুপমকে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে একট স্ক্রিনশট শেয়ার করে সঞ্জয় দাবি করেন, দল বহিষ্কৃত করার আগেই নিজের ইস্তফা পত্র তিনি দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে পাঠিয়েছিলেন। উল্লেখ্য, সঞ্জয়কে বুধবার সকালে লোকসভা ভোটে মহারাষ্ট্রের ‘তারকা প্রচারক’-এর তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিল কংগ্রেস।
বৃহস্পতিবার সকালে নিজের এক্স হ্যান্ডেলে মল্লিকার্জুন খাড়্গেকে পাঠানো ইস্তফা পত্রের স্ক্রিনশট শেয়ার করে নিরুপম লেখেন, “মনে হচ্ছে গত রাতে দলীয় নেতৃত্ব আমার পদত্যাগপত্র পাওয়ার পরপরই, আমাকে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই ধরনের তৎপরতা দেখে ভাল লাগছে। শুধু এই তথ্য শেয়ার করলাম।“
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে মুম্বাইয়ের একটি আসন থেকে প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন নিরুপম। আর তাতে আপত্তি জানিয়েছিলেন রাজ্যে কংগ্রেসের জোটসঙ্গী উদ্ধব ঠাকরের শিবসেনা গোষ্ঠী। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ নিরুপম গত সপ্তাহের মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধবের বিরুদ্ধে খাদ্য দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। ভোটের আগে প্রকাশ্যে জোটসঙ্গীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তোলায় সঞ্জয়ের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয় কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, শিবসেনা ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন নিরুপম। এরপর প্রথমে রাজ্যসভা এবং ২০০৯ মুম্বাই উত্তর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ ছিলেন তিনি। যদিও ২০১৪ সালে বিজেপি প্রার্থী গোপাল শেট্টির কাছে পরাজিত হন তিনি। এরপর ২০১৯ সালে মুম্বাই উত্তর-পশ্চিম কেন্দ্রে শিবসেনার গজানন কীরটিকরের কাছেও পরাস্ত হয়েছিলেন তিনি। তখন শিবসেনা বিজেপি-র জোটসঙ্গী ছিল।
লোকসভার আগে সঞ্জয় নিরুপমের কংগ্রেস থেকে বিদায়ে বিজেপির লাভ হবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন