

রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ (RSS)-কে ‘২১ শতকের কৌরব’ বলে তোপ দেগেছেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী। সোমবার, জোড়ো যাত্রা’-কালে হরিয়ানার কুরুক্ষেত্রে দাঁড়িয়ে তিনি বলেন, ‘এই রাজ্যই কৌরব ও পাণ্ডবদের মধ্যে মহাভারতের লড়াই হয়েছিল।’
প্রশ্নের সুরে রাহুল বলেন, ‘কারা কৌরব ছিল? একবিংশ শতাব্দীর কৌরবদের কথা বলি। তারা খাকি হাফ প্যান্ট পরে, হাতে লাঠি বহন করে এবং শাখা তৈরি করে। আর, এই কৌরবদের পাশে রয়েছে ভারতের ২-৩ জন কোটিপতি।’
আরএসএস বা বিজেপি-কে ‘কৌরব’ বলার পাশাপাশি কংগ্রেসকে পাণ্ডব বলেও অভিহিত করেছেন রাহুল গান্ধী।
একযোগে আরএসএস ও বিজেপিকে নিশানা করে সোনিয়া তনয় এদিন বলেন, ‘পান্ডবরা কি কখনো গরীবদের বিরুদ্ধে কাজ করেছে? তারা কি নোট বাতিল করেছে, ভুল জিএসটি চালু করেছে? তারা কখনই এটি করতে পারত? কখনই না। কেন? কারণ, তারা জানত নোট বাতিল, ভুল জিএসটি হল চুরি করার উপায়।’
রাহুল গান্ধী আরও বলেন, ‘নোট বাতিল বা ভুল জিএসটির মতো সিদ্ধান্তগুলিতে স্বাক্ষর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর, এই কাজে তাঁকে শক্তি যুগিয়েছে ভারতের ২-৩ জন পুঁজিপতি।’
বর্তমান সময়কে মহাভারতের সঙ্গে তুলনা টেনে রাহুল বলেন, ‘আজকের লড়াইও কৌরবদের বিরুদ্ধে পাণ্ডবদের যুদ্ধের মতো।’ তিনি বলেন,‘মানুষ এটা বোঝে না, কিন্তু লড়াইটা আজ একই রকম। এই যাত্রার মতো- পাণ্ডবদের সঙ্গে সব ধর্মের মানুষ ছিল। যেখানে কেউ কাউকে জিজ্ঞাসা করে না তারা কোথা থেকে এসেছে। এই যাত্রা প্রেমের দোকান। পাণ্ডবরাও অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল, তারাও ঘৃণার বাজারে প্রেমের দোকান খুলেছিল।’
আরএসএস-র বন্দুক প্রশিক্ষণ প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘আরএসএস কর্মীরা কখনও হর হর মহাদেব বলে না। কেন? কারণ, ভগবান শিব হলেন একজন তপস্বী।’
রাহুল আরও বলেন, ভারত জোড়ো যাত্রার মাঝে অনেকেই তাঁকে শুভেচ্ছা জানাতে গিয়ে ‘জয় সিয়া রাম’ বলেছেন। কিন্তু, আরএসএস- বিজেপির কর্মীরা কখনই ‘জয় সিয়া রাম’ বলেন না। তারা সীতাকে নিজেদের মন থেকে সরিয়ে দিয়েছ। এটি আমাদের ইতিহাস বিরুদ্ধে। আমি আপনাকে (কংগ্রেস কর্মীদের) বলছি, আপনি যখনই কোনও আরএসএস কর্মীকে দেখবেন, তাদের ‘জয় সিয়া রাম’ বলতে বলুন। কারণ, সীতা রামের মতোই গুরুত্বপূর্ণ।’
তিনি বলেন, ‘ভারত জোড়া যাত্রার আজকের দিনটি দেশের মহিলাদের উৎসর্গ করলাম। আমরা যা করেছি, বিজেপি তা কখনও করে না।’
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন