জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্যপাল থাকাকালীন প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘনিষ্ঠরা ফাইল পাস করার জন্য ৩০০ কোটি টাকা ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। গত বছর অক্টোবর মাসে রাজস্থানের একটি অনুষ্ঠানে এই অভিযোগ করেছিলেন সত্যপাল মালিক। এই অভিযোগের তদন্ত শুরু করলো কেন্দ্রীয় সংস্থা সিবিআই।
তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে হওয়া কৃষকদের আন্দোলনকে সমর্থন করে একাধিকবার কেন্দ্র সরকার, বিজেপির বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বর্তমানে মেঘালয়ের রাজ্যপাল সত্যপাল মালিক। রাজনৈতিক মহলে জল্পনা সিবিআই তদন্তের দ্বারা আসলে তাঁকেই লক্ষ্যবস্তু করা হচ্ছে। এই বিষয়ে এক সংবাদমাধ্যম গতকাল তাঁর প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, "সিবিআই তদন্ত হোক বা অন্য যেকোনো তদন্ত হোক, আমি ভীত নই। কৃষকদের পাশে আমি সবসময় থাকবো। তাঁদের হয়ে আওয়াজ তুলবো। অবসরের পর কৃষকদের সমস্যা নিয়েই কাজ করবো। সিবিআইকে আমি সবরকম সাহায্য করবো। বরং অনেক অতিরিক্ত তথ্য দেবো।"
রাজস্থানের ঝুনঝুনিতে গত ১৭ অক্টোবর একটি অনুষ্ঠানে সত্যপাল মালিক বলেছিলেন, "দুটি ফাইল পাস করানোর জন্য পাঠানো হয়েছিল আমার কাছে। একটি, এক বৃহৎ শিল্পগোষ্ঠীর সঙ্গে উপত্যকার সরকারি কর্মচারী, পেনশনভোগী এবং সরকার স্বীকৃত সাংবাদিক গোষ্ঠীর স্বাস্থ্য বীমা সংক্রান্ত চুক্তির ফাইল। এবং অন্যটি আরএসএস-ঘনিষ্ঠ এক সদস্যের ফাইল। এই ফাইল পাসের জন্য প্রধানমন্ত্রী মোদী ঘনিষ্ঠ দু'জন আমাকে ঘুষ দিতে চেয়েছিলেন। আমাকে বলা হয়েছিল, আমি যদি এগুলো অনুমোদন করি প্রতিটির জন্য ১৫০ কোটি টাকা পেতে পারি। আমি এই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করি এবং আমি ওঁদের বলেছিলাম যে আমি পাঁচটি কুর্তা পাজামা কাশ্মীরে নিয়ে এসেছি, এই পাঁচটি কুর্তা নিয়েই ফিরে যাব।"
সত্যপাল মালিকের এই অভিযোগের পরই সিবিআই তদন্তের দাবি তোলে বর্তমান জম্মু-কাশ্মীর প্রশাসন। অবশেষে এই তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই।
গতকাল সত্যপাল মালিক জানিয়েছেন, যাঁরা তাঁকে ঘুষের প্রস্তাব দিয়েছিলেন এবং এই গোটা বিষয়ে যাঁরা জড়িত রয়েছেন তাঁদের সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জানেন তিনি। তদন্তকালে তাঁদের নাম প্রকাশ করবেন তিনি।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।