

জওহরলাল নেহেরু বিশ্ববিদ্যালয়ের (JNU) যেকোনো একাডেমিক বা প্রশাসনিক ভবনের ১০০ মিটার ব্যাসার্ধের মধ্যে ধর্না, বিক্ষোভ, অনশন বা কোনও ধরণের প্রতিবাদ দেখালে ২০০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হবে। এমনকি দুটি সেমিস্টারের জন্য ক্যাম্পাস থেকে বহিষ্কারও করা হতে পারে।
যেকোনো "দেশবিরোধী স্লোগান” দিলে ১০০০০ টাকা জরিমানা করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও সদস্যের বাসভবনের আশেপাশেও কোনও ধরণের প্রতিবাদ করা যাবে না।
সম্প্রতি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে এই মর্মে ম্যানুয়াল জারি করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
ম্যানুয়াল অনুযায়ী, ছাত্রদের শৃঙ্খলা এবং সঠিক আচরণ শেখাতে গত ২৪ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যনির্বাহী পরিষদ দ্বারা এই সিদ্ধান্ত অনুমোদিত হয়েছিল।
ম্যানুয়ালে আরও বলা হয়েছে, কর্তৃপক্ষের আগাম অনুমতি না নিয়ে ক্যাম্পাসে নবীনবরণ, বিদায় অনুষ্ঠান বা ডিজে সহযোগে কোনও ইভেন্টের আয়োজন করা যাবে না। এই ধরণের অনুষ্ঠানের আয়োজন করা ছাত্রদের ৬০০০ টাকা করে জরিমানা করা হবে।
সোমবার এই ম্যানুয়ালের তীব্র বিরোধিতা করে বিবৃতি জারি করেছে JNU স্টুডেন্টস ইউনিয়ন। ছাত্র সংসদের মতে, কয়েক দশক ধরে জেএনইউকে যা সকলের কাছে সংজ্ঞায়িত করে তুলেছে, জেএনইউয়ের সেই প্রাণবন্ত ক্যাম্পাস সংস্কৃতিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে এই কঠোর ব্যবস্থাগুলি চালু করা হচ্ছে।
ম্যানুয়ালটিতে ইসির সম্মতির পরেই, JNUSU সভাপতি ঐশী ঘোষকে ১০০০০ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। গত ২ মার্চ স্টুডেন্টস ইউনিয়ন অফিসের তালাবদ্ধ দরজায় জোরপূর্বক ধাক্কা দেওয়ার জন্য এই জরিমানা করা হয়েছে। এবং এই ধরনের কাজের পুনরাবৃত্তি না করার জন্য সতর্কও করা হয়েছে।
সংশোধিত ম্যানুয়াল অনুসারে, যদি কোনও শিক্ষার্থী তাদের অধ্যয়নের সময়কালে পাঁচ বা তার বেশিবার শাস্তি পায়, তবে তাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হতে পারে এবং জরিমানা পরিশোধ না করা পর্যন্ত সেমিস্টারে বসতে দেওয়া হবে না।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র সংগঠনগুলি এই পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে। এটি ছাত্রদের ভিন্নমত পোষণ করার গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে বলে অভিমত তাদের।
তবে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য শান্তিশ্রী পণ্ডিত বলেন, ভার্সিটিতে দীর্ঘদিন ধরেই এই নিয়মগুলো চলে আসছে। তিনি জানিয়েছেন, “ম্যানুয়ালটি আইনগতভাবে কার্যকর করার জন্য গত মাসে ইসি সর্বসম্মতিক্রমে এটি পাস করেছে। হোস্টেলে মদ্যপান, মাদকদ্রব্য সেবন এবং মহিলাদের সাথে দুর্ব্যবহার করার জন্য জরিমানা করা হয়েছে। ১৯৬৯ সাল থেকেই এইসবের বিরুদ্ধে প্রক্টর অফিস ব্যবস্থা নিচ্ছে।“
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন