

ট্যুইট করে বিতর্কে জড়ালেন উত্তরপ্রদেশের বিজেপি বিধায়ক শালাব মনি ত্রিপাঠী। একটি ভিডিও পোস্ট করে বিক্ষোভকারীদের কটাক্ষ করেছেন তিনি। পাল্টা ট্যুইট করেন সমাজবাদী পার্টির সভাপতি অখিলেশ যাদবও।
শনিবার তিনি ট্যুইটারে একটি ভিডিও পোস্ট করেন। যাতে দেখা যাচ্ছে কিছু যুবককে পুলিশ থানার ভিতর লাঠি দিয়ে বেধড়ক মারছে। বিধায়ক অবশ্য কোন থানায় ঘটনাটি ঘটেছে সেই সম্পর্কে কিছু জানাননি। তবে ভিডিও শেয়ার করে লেখেন, ‘দাঙ্গাবাজদের জন্য রিটার্ন গিফট'।
সূত্রের খবর, সাহারানপুরের এক থানায় এই ভিডিও করা হয়েছিল। ঐ থানার সামনেই নূপুর শর্মার বিতর্কিত মন্তব্যের জেরে দফায় দফায় বিক্ষোভ হয়। পুলিশ জনতার খন্ডযুদ্ধ বাধে। তারপরেই কয়েকজনকে আটক করে যোগীর পুলিশ।
বিধায়কের ট্যুইটের পর বিরোধীরাও তাঁকে তীব্র আক্রমণ করেছেন। সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশ যাদব পাল্টা ট্যুইট করে লেখেন, ‘এইধরণের লকআপ নিয়ে অবশ্যই প্রশ্ন তোলা উচিত। নাহলে আমাদের ইকবাল বিচার হারিয়ে ফেলবে’। পাশাপাশি তিনি আরও লেখেন, ‘ইউপি জেল হেফাজতে মৃত্যুতে ১ নম্বর। ইউপি মানবাধিকার লঙ্ঘনে শীর্ষে। ইউপি দলিত নিগ্রহে সবথেকে আগে’।
উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশের পুলিশ শুক্রবার বিভিন্ন জেলা থেকে প্রায় ৩০০ জন বিক্ষোভকারীদের আটক করেছে। তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া হুঁশিয়ারি দেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পাশাপাশি সাহারানপুর ও প্রয়াগরাজের পুলিশ আধিকারিকরা জানান, আন্দোলনকারীদের বিরুদ্ধে জাতীয় নিরাপত্তা আইনের অধীনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। পুলিশ সুত্রের খবর, প্রয়াগরাজ থেকে প্রায় ৯০ জন, সাহারানপুর থেকে প্রায় ৭০ জন এবং হাথরাস থেকে প্রায় ৫০ জনকে আটক করা হয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন