

বেসরকারি সংস্থাগুলিকে সরকারি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশের নির্দেশ বহাল রাখল কর্ণাটক হাইকোর্ট। ফলে কিছুটা হলেও স্বস্তি পেল রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)।
কর্ণাটক হাইকোর্ট বৃহস্পতিবার সিঙ্গেল বেঞ্চের অস্থায়ী স্থগিতাদেশে হস্তক্ষেপ করতে অস্বীকার করেছে। রাজ্য সরকারের নির্দেশ অনুযায়ী, কোনো বেসরকারি সংস্থা বা গোষ্ঠীকে জনসমাবেশ আয়োজন বা সরকারি সম্পত্তি ব্যবহারের জন্য আগাম অনুমতি নিতে হতো। সরকারের এই নির্দেশিকার উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছিল সিঙ্গেল বেঞ্চ।
বিচারপতি এস.জি. পণ্ডিত এবং বিচারক গীতা কে.বি.-র সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ সিঙ্গেল বেঞ্চের স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে সরকারের আপিল খারিজ করে দিয়েছে এবং সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে যে, তারা যদি কোনো পরিবর্তন চান, তবে সিঙ্গেল বেঞ্চেই আবেদন করতে পারেন।
বেঞ্চ জানিয়েছে, “আপিলকারীদের জন্য অস্থায়ী নির্দেশ প্রত্যাহারের আবেদনের পথ খোলা রয়েছে। যদি এমন আবেদন দাখিল করা হয়, আমরা নিশ্চিত যে সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতিই এটি বিবেচনা করবেন। সমস্ত বিষয় বিবেচনার জন্য খোলা রাখা হলো।”
রাজ্যের পক্ষে অ্যাডভোকেট জেনারেল শশিকিরণ শেট্টি আদালতকে অনুরোধ করেন, সিঙ্গেল বেঞ্চের বিচারপতির আদেশ শুধুমাত্র সেই পিটিশনারদের জন্য প্রযোজ্য হোক যারা সরকারের নির্দেশের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ করেছিলেন। তবে বেঞ্চ এই অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করে।
কর্ণাটক সরকারের এই নির্দেশটি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘ (RSS)-এর শতবর্ষ উদযাপন উপলক্ষ্যে প্রস্তাবিত র্যালির প্রেক্ষাপটে জারি করা হয়। নির্দেশে বলা হয় যে, কোনো বেসরকারি সংস্থা, সমিতি বা গোষ্ঠীকে সরকারি সম্পত্তি ব্যবহার করার আগে বা প্রকাশ্যে কোনও মিছিল-র্যালি করার আগে সরকারের অনুমতি নিতে হবে।
এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করেন চারজন পিটিশনার - পুনঃশ্চেতন সেবা সমষ্টি, দ্য উই কেয়ার ফাউন্ডেশন এবং দুই ব্যক্তি ধারওয়াড়ের রাজীব মালহার পাটিলকুলকর্ণি ও বেলাগাভির সমাজকর্মী উমা সত্যজিৎ চাভান। তাঁরা যুক্তি দেন, এই আদেশ তাঁদের শান্তিপূর্ণ সমাবেশের মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন করছে।
২৮ অক্টোবর, বিচারপতি এম. নাগাপ্রসন্না সরকারি নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেন এবং জানান, নির্দেশটি অননুমোদিত সরকারি সম্পত্তি ব্যবহারের জন্য হলেও এটি প্রাথমিকভাবে সংবিধান দ্বারা প্রদত্ত মৌলিক অধিকার, বিশেষত মত প্রকাশ ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন