

কেন্দ্রীয় সরকারের নির্দেশের পরেও এখনও বাজারে ৮,৪৭০ কোটি টাকা মূল্যের ২০০০ টাকার নোট বাজারে আছে। শুক্রবার এক বিবৃতিতে একথা জানিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া। ওই বিবৃতিতে আরবিআই আরও জানিয়েছে বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটের ৯৭.৬২ শতাংশই ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে। ২০২৩ সালের ১৯ মে এক ঘোষণায় ২০০০ টাকার নোট তুলে নেওয়ার কথা জানায় আরবিআই।
২০০০ টাকার নোট ফিরিয়ে নেবার কথা জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত এই নোট বাতিল করা হয়নি। দেশের ১৯টি আরবিআই-এর শাখায় দেশের সাধারণ মানুষ ২০০০ টাকার নোট জমা করতে পারেন। এছাড়াও দেশের যে কোনও পোষ্টঅফিসের মাধ্যমে নাগরিকরা আরবিআই-তে এই টাকা পাঠাতে পারেন। যা পাঠানোর পর সমমূল্যের অর্থ তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।
যে ১৯টি আরবিআই অফিসে ২০০০ টাকার নোট এখনও জমা দেওয়া যাবে সেগুলি হল – আহমেদাবাদ, বেঙ্গালুরু, বেলাপুর, ভূপাল, ভুবনেশ্বর, চন্ডীগড়, চেন্নাই, গুয়াহাটি, হায়দারাবাদ, জয়পুর, জম্মু, কানপুর, কোলকাতা, লখনৌ, মুম্বাই, নাগপুর, নিউদিল্লি, পাটনা এবং থিরুবনন্তপুরম।
এদিনের বিবৃতিতে আরবিআই জানিয়েছে, ১৯ মে ২০২৩-এ ২০০০ টাকার নোট তুলে নেবার ঘোষণার সময় বাজারে ৩.৬৫ লক্ষ কোটি টাকা মূল্যের নোট ছিল। ২০২৪-এর ২৯ ফেব্রুয়ারি তা কমে দাঁড়িয়েছে ৮,৪৭০ কোটি টাকা। অর্থাৎ বাজারে থাকা ২০০০ টাকার নোটের ৯৭.৬২ শতাংশ রিজার্ভ ব্যাঙ্কে ফিরে এসেছে।
২০১৬ সালের নভেম্বর মাসে ৫০০ ও ১০০০ টাকার নোটবাতিলের পর ২০০০ টাকার নোট বাজারে এসেছিল।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন
