রাম জন্মভূমির একাধিক জমি ব্যক্তিগত মালিকানায় কেনা হয়েছে। এমনই অভিযোগে এবার চাঞ্চল্য ছড়াল খোদ রাম জন্মভূমিতেই। এই জমি কেলেঙ্কারিতে নাম জড়িয়েছে বিজেপি বিধায়কের পাশাপাশি মেয়রেরও। একটি সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমে এমনই খবর প্রকাশিত হয়েছে।
সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দেওয়া তালিকা বলছে, কে, কত টাকায়, কার কাছ থেকে কত পরিমাণ জমি কিনেছেন। জমির ক্রেতাদের মধ্যে আছেন বিজেপি বিধায়ক ইন্দ্রপ্রতাপ তিওয়ারি ও বেদ প্রকাশ গুপ্তা, অযোধ্যার মেয়র ঋষিকেশ উপাধ্যায়, অযোধ্যার ডিভিশনাল কমিশনার এমপি আগরওয়াল, অযোধ্যার মুখ্য রেভিনিউ অফিসার পুরুষোত্তম দাশগুপ্ত, ডিআইজি দীপক কুমার-সহ আরও অনেকে।
প্রসঙ্গত, গত বছর ৯ নভেম্বর অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের অনুমতি দেয় সুপ্রিম কোর্ট। সেই ঐতিহাসিক রায়ের পর থেকেই অযোধ্যার জমির দাম বেড়ে যায়। শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট গঠিত হয়। তারপর ৭০ একর জমি অধিগৃহীত হয়েছে। পাশাপাশি ব্যক্তিগত মালিকানায় বহু প্রভাবশালী জমি কিনেছেন বলে অভিযোগ।
সংবাদ মাধ্যমের দাবি, রাম জন্মভূমিতে প্লট কিনেছেন বিধায়ক, মেয়র, উপ-জেলাশাসক, পুলিশ কর্তা এবং বহু সরকারি আধিকারিক, এমনকী তাঁদের আত্মীয়রাও। প্রত্যেকের জমি রয়েছে প্রস্তাবিত রাম মন্দিরের ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই। দেখা গিয়েছে, মহর্ষি রামায়ণ বিদ্যাপীঠ ট্রাস্ট পাঁচটি প্লট কিনেছে। স্থানীয়দের থেকে ওই জমি কিনে সরকারি আধিকারিকরা আত্মীয়দের দিয়েছেন। এমনটাই বলছে অযোধ্যার সাম্প্রতিক জমির রেকর্ড।
উল্লেখ্য, রামভক্তিতে ‘মুক্তহস্তে’ দান করেছেন দেশের হাজার হাজার মানুষ । ৩ হাজার কোটি টাকার বেশি চাঁদা জমা পড়েছে বলে সূত্রের খবর। কিন্তু, মন্দির নির্মাণের জন্য দেওয়া জনগণের সেই টাকা ঘুরপথে বিজেপি নেতাদের পকেটে ঢুকছে বলে অভিযোগ বিরোধীদের। শুধু তাই নয়, ওই জমি নাকি সরকারি জমি, যা বিক্রির প্রশ্নই ওঠে না। সেই জমি নিয়ে উঠছে প্রশ্ন।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।