Ram Temple: ২০ লাখে জমি কিনে ২.৫ কোটিতে বিক্রি - মন্দির ট্রাষ্টি, BJP বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ সাধুর

অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি এবং নাজুল জমি কেনার ক্ষেত্রে ভক্তদের দান করা অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ এনে অযোধ্যার হনুমানগড়ি মন্দিরের সাধু মহন্ত ধরম দাস পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন।
প্রস্তাবিত রাম মন্দির
প্রস্তাবিত রাম মন্দিরফাইল ছবি সংগৃহীত
Published on

অযোধ্যার হনুমান গড়ি মন্দিরের সাধু মহন্ত ধরম দাস রাম মন্দির ট্রাস্টের সচিব চম্পত রাই, সমস্ত ট্রাস্টি, বিধায়ক দীপ নারায়ণ উপাধ্যায়, অযোধ্যার মেয়রের ভাইপো হৃষিকেশ উপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন। অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, জালিয়াতি এবং নাজুল জমি কেনার ক্ষেত্রে ভক্তদের দান করা অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ এনে তিনি ফৌজাবাদ তহসিলের সাব-রেজিস্ট্রারের দ্বারস্থ হয়েছেন।

ধরম দাস প্রয়াত মহন্ত রাম অভিরাম দাসের শিষ্য। বলা হয় প্রয়াত রাম অভিরাম দাসই ১৯৪৯ সালের ২২ ডিসেম্বর মাঝরাতে বাবরি মসজিদের বিতর্কিত অংশে মূর্তি রেখে আসেন। রাম মন্দির আন্দোলনের একজন বিশিষ্ট মুখ এবং হিন্দুদের পক্ষ থেকে রাম জন্মভূমি মামলার প্রধান মামলাকারীদের একজন ধরম দাস স্থানীয় রাম জন্মভূমি থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন।

তিনি মন্দির ট্রাস্টের সদস্যদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র, প্রতারণা এবং রাম মন্দির নির্মাণের জন্য দান করা অর্থের অপব্যবহারের অভিযোগ করেছেন। ধরম দাস ফৈজাবাদের সাব-রেজিস্ট্রার এস বি সিংকেও এই ঘটনায় অভিযুক্ত করেছেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, "সাব-রেজিস্ট্রারের দপ্তর অবগত ছিল না যে 'নাজুল' জমি দুবার বিক্রি হয়েছে। এটা কিভাবে সম্ভব? ফেব্রুয়ারি মাসে ২০ লক্ষ টাকায় মহন্ত দেবেন্দ্র প্রসাদচার্য ৬৭৬ বর্গ মিটারের এই প্লটটি অযোধ্যার মেয়র হৃষিকেশ উপাধ্যায়ের ভাইপো দীপ নারায়ণের কাছে বিক্রি করেছিলেন। দীপ নারায়ণ এটি ট্রাস্টের কাছে মে মাসে আড়াই কোটি টাকায় বিক্রি করেন। যেখানে ডিএম সার্কেল রেট অনুযায়ী এই জমির মূল্য প্রায় ৩৫ লক্ষ টাকা।"

তাঁর অভিযোগ, এই বিক্রিতে সাক্ষী ছিলেন গোসাইগঞ্জ (অযোধ্যা) থেকে নির্বাচিত বিজেপি বিধায়ক ইন্দ্রপ্রতাপ তিওয়ারি এবং ট্রাস্টি অনিল মিশ্র।

তিনি রাইকে সেক্রেটারি পদ থেকে বরখাস্ত এবং অযোধ্যার সাধুদের কাছে ট্রাস্টের দায়িত্ব হস্তান্তরের দাবি জানান। দাস বলেন, "সরকারের মন্দির নির্মাণে জড়িত হওয়া উচিত নয়।"

যদিও ট্রাস্টিদের কেউই এই বিষয়ে মন্তব্য করতে রাজি হননি। ক্যাম্প অফিসের ইনচার্জ প্রকাশ গুপ্ত বলেন, "যদি এটি নাজুল জমি হয়, নাজুল কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ করা উচিত ছিল, পুলিশ নয়। আমরা জমি কিনেছি এবং অর্থ প্রদান করেছি। এতে দুর্নীতি কোথায়?"

- with inputs from IANS

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in