

রাজস্থানে কংগ্রেসের নতুন ইনচার্জ হলেন পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখজিন্দর সিং রান্ধাওয়া। গত ১৬ নভেম্বর, অজয় মাকেনের পদত্যাগের পর, দলে ডামাডোল পরিস্থিতি সামাল দিতে এবার সুখজিন্দরকে বেছে নিয়েছেন কংগ্রেস হাইকমান্ড।
গত দু’বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার ইনচার্জ বদল করল কংগ্রেস। এর আগে, ২০২০ সালের আগস্টে, রাজস্থানের ইনচার্জ অবিনাশ পান্ডের জায়গায় মাকেনকে নিয়ে এসেছিল দলের শীর্ষ নেরতিত্ব। তারপর, আশা করা হয়েছিল, অশোক গেহলট ও শচীন পাইলট শিবিরের মধ্যে দ্বন্দ্ব কমিয়ে- দলের অন্দরে ‘শক্তি’ ফিরিয়ে আনবেন মাকেন। কিন্তু, সেই চেষ্টা সফল হয়নি।
তবে, শৃঙ্খলা রক্ষায় কংগ্রেস নেতৃত্বের ‘নিষ্ক্রিয়তা’ নিয়ে শীর্ষ নেতৃত্বের প্রতি ‘ক্ষোভ’ প্রকাশ করে পদত্যাগ করেছেন অজয় মাকেন। কারণ, কংগ্রেসের সভাপতি নির্বাচনের আগে অশোক গেহলট ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের বিদ্রোহ তিনি মেনে নিতে পারেননি।
অজয় মাকেন আশা করেছিলেন বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে কংগ্রেস হাইকম্যান্ড। কিন্তু তার পর ২ মাস কেটে গেলেও কোনও পদক্ষেপ করা হয়নি বলে অভিযোগ। জানা যাচ্ছে, মহেশ জোশী, ধর্মেন্দ্র রাঠৌর এবং শান্তি ধারিওয়াল- মূলত এই তিন গেহলট অনুগামী বিধায়কের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ করেছিলেন মাকেন।
দলকে মাকেন জানিয়েছিলেন যে, দলের নির্দেশ অমান্য করে তাঁরা নিজেদের মতো বৈঠক করছেন। মাকেনের প্রত্যাশা ছিল যে, তাঁদের কাছে জবাব তলব করবে দল। পারতপক্ষে কংগ্রেস সংসদীয় দলের বৈঠকে গরহাজির থাকার জন্য তাঁদের ভর্ৎসনা করবে দল। কিন্তু সে সব কিছুই হয়নি। যার জেরে ক্ষোভ জানিয়ে রাজস্থানে দায়িত্ব থেকে সরে দাঁড়ান মাকেন।
এবার, সে জায়গায় রাজস্থানে দলের হাল ধরতে দায়িত্ব পেলেন সুখজিন্দর সিং রান্ধাওয়া। অবিনাশ পান্ডে ও অজয় মাকেনের পর সুখজিন্দর সিং এখন কিভাবে গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্বের নিরসন ঘটান, সেটাই এখন দেখার।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন