
একদিকে রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ার, অন্যদিকে কংগ্রেসে সভাপতির পদে নির্বাচন। দুটি বিষয়কেই কেন্দ্র করে উত্তজনা ও ‘বিদ্রোহ’ দেখা দিয়েছে কংগ্রেসে। পরিস্থিতি সামাল দিতে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা কমল নাথকে দিল্লিতে ডেকে পাঠালেন সোনিয়া গান্ধী।
সোমবার, সারাদিন অনেক চেষ্টার পরেও গেহলট পন্থী কংগ্রেস বিধায়কদের বাগে আনতে পারেননি রাজস্থান কংগ্রেসের ইনচার্জ অজয় মাকেন এবং পর্যবেক্ষক মল্লিকার্জুন খার্গে।
দিল্লি যাওয়ার আগে রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রী ঠিক করার জন্য জয়পুরে কংগ্রেস লেজিসলেটিভ পার্টি (CLP)-র সভা ডেকেছিলেন ইনচার্জ অজয় মাকেন ও মল্লিকার্জুন খার্গে। কিন্তু, সেই ডাকে সাড়া না দিয়ে, অন্যত্র সভা করেন গেহলট অনুগামী বিধয়কেরা।
এমনকি, গেহলট অনুগামী ৯২ জন বিধায়ক নিজেদের গোষ্ঠী থেকে নতুন মুখ্যমন্ত্রী করার দাবি তোলেন। আর, সেই দাবি মানা না হলে পদত্যাগের হুমকিও দেন তাঁরা। রাজস্থানের মন্ত্রী প্রতাপ সিং কাচারিয়াস বলেছেন, ‘বিধায়করা চান- শচীন পাইলটের পরিবর্তে তাঁদের পছন্দের কাউকে মুখ্যমন্ত্রী করা হোক।’
প্রবীণ কংগ্রেস নেতা মাকেন জানান, ‘আমরা এক এক করে সবার কথা শুনতে চেয়েছিলাম। কিন্তু, তিনজন বিধায়ক আমাদের কাছে তিনটি শর্ত রেখেছেন। তাঁরা জানিয়েছে, ১৯ অক্টোবর, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পরেই নতুন মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে কোনও বৈঠক করা উচিত।’
তবে এদিন মাকেন বলেন, ‘এটি স্বার্থের সংঘাত হতে পারে। কারণ অশোক গেহলট দলীয় প্রধান (সভাপতি) হতে পারলে রাজস্থানের নতুন মুখ্যমন্ত্রীর বিষয়ে প্রস্তাব পাস করা হবে। রাজস্থানে নিজের উত্তরসূরী বাছাইয়ের ক্ষেত্রে ক্ষমতা প্রয়োগ করতে পারেন তিনি।’
প্রসঙ্গত, রবিবার সকাল পর্যন্ত ঠিক ছিল, গেহলটের ছেড়ে যাওয়া আসনে বসবেন তাঁরই চির প্রতিদ্বন্দ্বী সচিন পাইলট। সেইমতো সন্ধ্যায় জয়পুরে কংগ্রেস বিধায়কদের বৈঠক ডাকা হয়। কিন্তু, সেই বৈঠকের আগেই গেহলট তাঁর অনুগামী বিধায়কদের দিয়ে পাইলটের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করায়, যা পরিস্থিতি পাল্টে দেয়।
সূত্রের খবর, এই ঘটনার পর গেহলটের উপর ক্ষুব্ধ কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। তিনি দলের সভাপতি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে পারেন। এই পরিস্থিতিতে কমল নাথকে দিল্লি ডেকে পাঠানো, রাজনৈতিক মহলে নতুন করে জল্পনা তৈরি করেছে।
GOOGLE NEWS-এ আমাদের ফলো করুন