Rajasthan Paper Leak Case: মূল অভিযুক্তের সাথে একাধিক নেতা-মন্ত্রীর যোগ!

সুরেশ ঢাকা রাজস্থানের ঝালোরের সাঞ্চোর থেকে ২০ কিমি দূরে অবস্থিত অচলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জয়পুরে একটি কোচিং সেন্টার চালান। তাঁর বাবা মঙ্গিলাল বর্তমানে সরপঞ্চ।
মূল অভিযুক্ত সুরেশ ঢাকা
মূল অভিযুক্ত সুরেশ ঢাকা
Published on

রাজস্থান পাবলিক সার্ভিস কমিশনের দ্বিতীয় শ্রেণির (Second Grade) শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসকাণ্ডের মূল অভিযুক্ত সুরেশ ঢাকার সাথে একাধিক রাজনৈতিক নেতার ছবি ভাইরাল হয়েছে। বিভিন্ন সূত্র মারফত জানা যাচ্ছে তিনি (সুরেশ ঢাকা) একাধিক মন্ত্রীর ট্যুইটার অ্যাকাউন্ট ও ফেসবুক পেজ চালাতেন। যদিও তাঁরা কোন দলের নেতা তা প্রকাশ করেনি তদন্তকারী কর্মকর্তারা।

সুরেশ ঢাকা রাজস্থানের ঝালোরের সাঞ্চোর থেকে ২০ কিমি দূরে অবস্থিত অচলপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জয়পুরে ‘Umang Classes on Gurjar Ki Thadi’ নামে একটি কোচিং সেন্টার চালান।

সূত্রের খবর, তাঁর নিজের সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়ার অ্যাকাউন্ট ভেরিফায়েড। সুরেশ ঢাকা তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলিতে ভুয়ো অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে ফলোয়ার্সের সংখ্যা বাড়িয়ে রাজ্যের লক্ষাধিক যুবককে ফাঁদে ফেলেছেন। তদন্তে জানা গেছে প্রশ্নফাঁস কাণ্ডের মাষ্টারমাইন্ড তিনিই।

উদয়পুর পুলিশ প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে ৪৫ জন প্রার্থীর তালিকা প্রকাশ করে, যারা একটি বাসে করে যাওয়ার সময় ধরা পড়েছিল। এদের মধ্যে ৪৩ জন প্রার্থীই ঝালোর জেলার বাসিন্দা।

তদন্তের মাধ্যমে পুলিশ নিশ্চিত হয়েছে যে অভিযুক্তরা পরীক্ষার্থী পিছু ১০-১৫ লাখ টাকার বিনিময়ে সাধারণ জ্ঞানের (GK) পেপার বিক্রি করেছে। বাসের মধ্যেই তারা পেপারের উত্তর দিচ্ছিলেন। সেই সময় পুলিশ তাদের গ্রেফতার করে।

৪৫ জনকে রবিবার আদালতে পেশ করা হয়। তাদের মধ্যে ৫ জন ছেলে ও দু’জন মেয়েকে দু’দিনের জন্য রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে। এর পাশাপাশি প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে একটি সরকারি স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুরেশ বিষ্ণোই, দ্বিতীয় শ্রেণির দুই সরকারি শিক্ষক, দু’জন এমবিবিএস পড়ুয়া ও একজন করণিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ সুপার বিকাশ কুমার শর্মা বলেন, প্রধান শিক্ষক বিষ্ণোইয়ের কাছে একটি প্রশ্নপত্র ছিল। যেটার একটি করে কপি বাসে বসে থাকা সকল পরীক্ষার্থীকে দিয়েছিলেন তিনি। তৃতীয় বর্ষের মেডিকেল পড়ুয়া ভজন লাল এবং দ্বিতীয় শ্রেণির শিক্ষক রাইতারাম চৌধুরী ওই প্রধান শিক্ষককে সাহায্য করছিলেন। বাস চালক এবং বাসের মালিকও এই ঘটনায় জড়িত। কোটা মেডিকেল কলেজের প্রথম বর্ষের দুই পড়ুয়াও জড়িত।

প্রশ্নফাঁস কাণ্ডে সকল অভিযুক্তের বিরুদ্ধে জাতীয় ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-এর অধীনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সুরেশ ঢাকার বাবা মঙ্গিলাল বর্তমানে সরপঞ্চ। এর আগেও আর্থিক তছরুপের দায়ে জেল হেফাজত হয়েছিল সুরেশ ঢাকার।

মূল অভিযুক্ত সুরেশ ঢাকা
বিহারে পালা বদলের কয়েক মাসের মধ্যেই লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে ফের তদন্ত শুরু করল CBI

স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in