রাষ্ট্রীয় জনতা দলের (RJD) সুপ্রিমো লালু প্রসাদ যাদবের (Lalu Prasad Yadav) বিরুদ্ধে আবার তদন্ত শুরু করল কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা CBI।
কয়েকমাস আসেই (১০ আগস্ট ২০২২) বিজেপির সঙ্গ ছেড়ে RJD-র সঙ্গে জোট বেঁধে সরকার গঠন করেছে নীতিশ কুমারের জনতা দল ইউনাইটেড (JDU)। বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন লালু প্রসাদের ছেলে তেজস্বী যাদব। সেই পেক্ষাপটে লালুর বিরুদ্ধে পুরানো খাতা খুলে সিবিআই তদন্ত শুরু করায়, মোদী সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার অভিযোগ উঠেছে।
জানা যাচ্ছে, ইউপিএ-১ সরকারের আমলে (২০০৪-০৯) রেলমন্ত্রী থাকাকালীন লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে প্রকল্প বণ্টনে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। লালু প্রসাদ যাদব ছাড়াও তেজস্বী যাদব, দুই মেয়ে চন্দা যাদব ও রাগীনী যাদবের নামও জড়ায় ওই দুর্নীতিতে।
২০১৮ সালে এই মামলার তদন্ত শুরু করে সিবিআই। তবে ২০২১ সালের মে মাসে তদন্ত বন্ধ করে দেওয়া হয়। সেই সময় সিবিআই সূত্রে জানানো হয়, লালু প্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সাপেক্ষে কোনও প্রমাণ মেলেনি। তবে, সেই বন্ধ করে দেওয়া মামলা খুলে সিবিআই আবার তদন্ত শুরু করায়, দানা বেঁধেছে বিতর্ক।
রেল প্রকল্পে কী নিয়ে দুর্নীতি?
অভিযোগ, মুম্বইয়ের বান্দ্রায় রেলের একটি প্রকল্প ও নয়াদিল্লি রেলস্টেশনকে নতুন করে সাজিয়ে তোলার প্রকল্পে রিয়েল এস্টেট কোম্পানি ডিএলএফ গ্রুপকে বরাত পাইয়ে দিয়েছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী লালু প্রসাদ যাদব।
এর বদলে তাঁকে 'ঘুষ' হিসাবে দক্ষিণ দিল্লির একটি জমি দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। যে জমিটি বাজারদরের তুলনায় অনেক কম দামে (৫ কোটিতে) পেয়েছিল ডিএলএফ সংস্থার একটি ভুয়ো কোম্পানি। সেসময় এই জমির বাজার মূল্য ছিল ৩০ কোটি টাকা।
পরে ওই ভুয়ো সংস্থাকেই মাত্র ৪ লক্ষ টাকায় কিনে নেন তেজস্বী যাদব।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন