পিথাগোরাসের উপপাদ্য ও মাধ্যাকর্ষণ শক্তির তথ্য ভুয়ো বলে দাবি করলেন কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে ছাত্রছাত্রীরা এই সমস্ত ভুল তথ্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে পারবে। যা নিয়ে নিন্দার ঝড় উঠেছে শিক্ষক মহলে।
দেশজুড়ে শিক্ষাক্ষেত্রে এখন চর্চার বিষয় হল কেন্দ্রীয় সরকারের জাতীয় শিক্ষানীতি। তার মধ্যেই বৈদিক যুগের সাথে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির সম্পর্কের কথা বলে বেকায়দায় বিজেপি নেতা। তিনি বলেন, নিউটনের মাথায় আপেল পড়া ওইসব ভুয়ো ঘটনা। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির আবিষ্কার মূলত বৈদিক যুগে হয়েছিল। ছেলেমেয়েরা জাতীয় শিক্ষানীতির ফলে আসল সত্য জানতে পারবে।
এই শিক্ষানীতিতে ইংরাজী ও স্থানীয় ভাষা সহ সংস্কৃত ভাষার প্রাধান্যের কথা বলা হয়েছে। এর পাশাপাশি ঐ প্রস্তাবে বলা হয়েছে প্রাচীন ভারত থেকে গাণিতিক পদ্ধতিগুলি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। এর সাথে ঐ গণিতের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রেখে একটি রূপরেখা আঁকারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেটির ধারণা মূলত ইউরোপ থেকে নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও কিছু বৈদিক সূত্র অনুসরণ করতে হবে। যাতে দ্রুত মানসিক গণনার ক্ষেত্রে সুবিধা হবে।
বিজ্ঞান বিভাগের জন্য মধ্যযুগে ভারতের অবদানগুলি উল্লেখ করতে হবে। প্রস্তাবে এও বলা হয়েছে, বইগুলি ছাত্রদের আত্মীকরণে, সত্যের সাথে পরিচয় ঘটাতে এবং বিভিন্ন বিষয়ে অনুসন্ধান করতে সাহায্য করবে। যা ঋক বৈদিক যুগ থেকে গোটা বিশ্বের কাছে গৃহীত হয়ে আসছে।
তবে এই বিতর্ক নতুন নয়। এর আগেও কর্ণাটকে পাঠ্যপুস্তক সংক্রান্ত বিষয় স্মাওনে এসেছিল। যেকাহ্নে মহত্মা গান্ধী, বি আর আম্বেদকর ও নেহেরুর বিষয় বই থেকে বাদ দেওয়া হয়। তাঁদেরকে বাদ দিয়ে আরএসএস মতাদর্শী কেবি হেডগেওয়ার ও বিনায়ক দামোদর সাভারকারের ওপর রচনা অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যার তীব্র প্রতিবাদ জানায় শিক্ষা মহল।
শিক্ষাবিদদের মধ্যে একজন জানান, বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান বিষয়গুলির সাথে পৌরাণিক গল্প জুড়ে দেওয়া কখনই কাম্য নয়। এমনটা যদি হয় তাহলে তা অবৈজ্ঞানিক। বিজ্ঞানের সাথে কোনো সম্পর্ক নেই।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।