

মধ্যযুগীয় বর্বরতার দৃশ্য ধরা পড়লো ঝাড়খণ্ডে। বিয়েতে রাজি না হওয়ায় মাথা ন্যাড়া করে গোটা গ্রাম ঘোরানো হলো ১৯ বছরের এক তরুণীকে। তাঁকে গ্রামের সকলের সামনে মারধর করারও অভিযোগ উঠছে।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তরুণীর পরিবারের সদস্যরা একজনের সাথে বিয়ে ঠিক করেছিলেন তরুণীর। বিয়ের দিনই নিরুদ্দেশ হয়ে যান তরুণীটি। প্রায় ২০ দিন পর গত রবিবার বাড়ি ফিরে আসেন তিনি।
তাকে দেখা মাত্রই মেদিনীনগরের বাসিন্দারা ক্ষুব্ধ হন। পরিবারের সদস্যরাও তরুণীকে নিয়ে পঞ্চায়েতে হাজির হন। তাঁরাও ওই তরুণীর শাস্তির দাবি করেন।
পঞ্চায়েতে সকলের সামনে তাকে একাধিক প্রশ্ন করা হয়। ২০ দিন কোথায় ছিলেন তিনি? কে তাকে আশ্রয় দিয়েছেন? একটিও প্রশ্নের উত্তর নাকি ওই তরুণী দেয়নি। এরপরেই তাকে প্রথমে মারধর ও পরে ন্যাড়া করে গোটা গ্রাম ঘোরানো হয়। এই ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই বেশ কয়েকজন পঞ্চায়েত সদস্যকে আটক করেছে পুলিশ। আর কারা কারা যুক্ত সে বিষয়েও তদন্ত চালাচ্ছে।
মেদিনীনগর গ্রামটি রাঁচি থেকে ১৮৫ কিমি দূরে অবস্থিত। বিয়ের দিনই ওই তরুণী বাড়ি ছেড়ে পালিয়েছিল। বর্তমানে আহত তরুণী মেদিনীনগর মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন