দেশের পাবলিক সেক্টর ব্যাংকগুলোর মালিক দেশের নাগরিকরাই। যার বেসরকারিকরণ কখনই সম্ভব নয়। নির্বাচিত সরকার এইসব ব্যাংকের কেয়ারটেকার ছাড়া আর কিছুই নয়। ব্যাংক কর্মী সংগঠনের সদস্যদের তরফে এমনটাই দাবি করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবর্ষের বাজেট পেশ করার সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন দুটি ব্যাংক বেসরকারিকরণের কথা উল্লেখ করেন।
কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতায় সরব হয়ে বৃহস্পতিবার ব্যাংক এমপ্লয়ীস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়া একটি প্রেস বিবৃতি প্রকাশ করেছে। বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, সীতারমন তাঁর বাজেট বক্তৃতায় ঘোষণা করেছেন, আইডিবিআই ও জেনারেল ইনস্যুরেন্স ব্যাংককে বেসরকারিকরণ করা হবে। সঙ্গে এলআইসির কিছু শেয়ার বেসরকারিকরণের কথাও উল্লেখ করা হয়। এমন ঘোষণার বিরোধিতা করে ১৫ মার্চ প্রায় ১০ লাখ পিএসবি কর্মী এবং বেসরকারি ব্যাংকগুলো ২ দিনে ধর্মঘটের ডাক দেয়।
ব্যাংক কর্মী সংগঠনের তরফেও জেনারেল ইনস্যুরেন্স কর্পোরেশন এবং এলআইসির ধর্মঘটী কর্মীদের সঙ্গে যোগদান করেন। সম্প্রতি জাতীয় সংবাদমাধ্যমগুলোতে প্রকাশ করা হয় নীতি আয়োগের একটি রিপোর্ট। যাতে যে সব ব্যাংককে বেসরকারিকরণ করা হবে, তার নামের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। এরপরই ব্যাংক কর্মী সংগঠনের তরফে প্রতিবাদ জানানো হয়।
এমনকী, নতুন করে আন্দোলনের চিন্তাভাবনাও শুরু করা হয়েছে। ব্যাংক এমপ্লয়ীস ফেডারেশন অফ ইন্ডিয়ার এক প্রেস বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বেসরকারি ব্যাংকের ব্যর্থতার ইতিহাস রয়েছে। যেখানে আমানতকারীদের টাকা নিয়ে ব্যাংক বন্ধ করে দেওয়ার ঘটনা রয়েছে। এরফলে ব্যাংককর্মী ও আমানতকারীদের দুর্ভোগের বিষয়টি মানুষ জানে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।