
দ্বিতীয় বারের জন্য হেমন্ত সোরেন নয়া সরকার গঠনের পরেই শুরু রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব। ঝাড়খণ্ড স্টাফ সিলেকশন কমিশন (JSSC) দ্বারা পরিচালিত সিজিএল পরীক্ষা বাতিলের দাবিতে পথে নামেন পড়ুয়ারা। হাজারিবাগে আন্দোলনরত পড়ুয়াদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। যার বিরুদ্ধে বিরোধীরা বিক্ষোভ দেখায়। এমনকি বিধানসভায় সিবিআই তদন্তের দাবিও জানানো হয়।
বুধবার বিধানসভা অধিবেশন শুরু হওয়ার আগে এজেএসইউ দলের বিধায়ক নির্মল মাহাতো ঝাড়খণ্ড বিধানসভার প্রধান প্রবেশদ্বারের সামনে ধর্ণায় বসেন। মান্ডু এলাকার নবনির্বাচিত বিধায়ক পরীক্ষায় কারচুপি এবং প্রতিবাদী পড়ুয়াদের উপর পুলিশের বলপ্রয়োগের জন্য সিবিআই তদন্তের দাবি জানান। তিনি জানান, ‘শিক্ষার্থীদের দাবি গুলো ন্যায্য ছিল। পড়ুয়াদের কণ্ঠস্বরকে দমন করার চেষ্টা করছে সরকার’।
প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা বর্তমান বিজেপি বিধায়ক বাবুলাল মারান্ডি বিধানসভা প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের জানান, পুলিশকে লাঠিচার্জের নির্দেশ দেওয়া হয়। তিনি এটিকে সরকারের জন্য ‘কফিনে শেষ পেরেক’ হিসেবে অভিহিত করেন। তাঁর অভিযোগ, ‘পরীক্ষা প্রক্রিয়ায় অনিয়ম হয়েছে। পড়ুয়ারা এই অসদাচরণের প্রমাণ উপস্থাপন করা সত্ত্বেও তাঁদের অভিযোগ শোনা হয়নি। সিবিআই তদন্ত করতে হবে এই অভিযোগের। সরকারকে অবশ্যই শিক্ষার্থীদের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে’।
যদিও এই ঘটনাকে পুরোটাই রাজনৈতিক অভিসন্ধী বলে অভিযোগ তুলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী সুদিব্য কুমার সোনু। তাঁর অভিযোগ, ‘যদিও বিক্ষোভ একটি গণতান্ত্রিক অধিকার। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বিঘ্নিত করা অগ্রহণযোগ্য। সরকার পড়ুয়াদের সমস্যা সমাধান করতে ইচ্ছুক। কিন্তু বিজেপি তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক এজেন্ডাকে এগিয়ে নিয়ে জেতে এই আন্দোলনকে ব্যবহার করছে’।
ঝাড়খণ্ড লোকতান্ত্রিক ক্রান্তি মোর্চা (JLKM) -র বিধায়ক জয়রাম মাহাতো পুলিশের পদক্ষেপের তীব্র নিন্দা করেছেন। গোটা ঘটনার বিবরণ দিয়ে তিনি বলেন, ‘বেশ কিছু ছাত্রের পা, হাত, আঙুলে ফ্র্যাকচার হয়েছে। আমি বিষয়টি বিধানসভা অধিবেশনে তুলব এবং বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে ছাত্রদের পক্ষে সমর্থন করব’।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন