ইউক্রেনের ওপর রাশিয়া হামলা চালাতেই একটি সম্পূর্ণ ভিন্ন দিকে দৃষ্টি খুলে গেল ভারতবাসীর। ক'জন জানতেন যে ইউক্রেনে দলে দলে ভারত থেকে ডাক্তারি পড়তে যায়! থাকা-খাওয়া সহ সেদেশে ডাক্তারি পড়ার খরচ এদেশের প্রায় অর্ধেক। তার জন্যই ডাক্তার হতে চেয়ে ইউক্রেন ছুটছেন হাজার হাজার হাজার ভারতীয় পড়ুয়ারা। যুদ্ধের মধ্যে পড়ে তার খেসারতও দিতে হয়েছে পড়ুয়াদের। আর পড়ুয়াদের এই হয়রানির জন্য পূর্বতন সরকারকে দায়ী করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
বৃহস্পতিবারই উত্তরপ্রদেশে নির্বাচনী প্রচারের ফাঁকে ইউক্রেন ফেরত একদল পড়ুয়ার সঙ্গে কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। ইউক্রেনের যুদ্ধ পরিস্থিতি, ছাত্রছাত্রীদের সেখানে কী কী অসুবিধায় পড়তে হয়েছে সেসব জানতে চান তিনি। ইউক্রেনে চরম পরিস্থিতির মুখে পড়ে যে সব পড়ুয়া ও তাঁদের অভিভাবকরা প্রধানমন্ত্রী ও কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন, তাদের ক্ষোভ-দুঃখের কারণও তিনি বুঝতে পারছেন বলে জানান।
প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, এই কঠিন পরিস্থিতিতে ওঁদের রাগ হওয়া স্বাভাবিক। ওনারা যে চরম ঠাণ্ডার মধ্যে, প্রতিকূল পরিস্থিতি পার করে দেশে ফিরে এসেছেন, তাতে ক্ষোভ থাকাই স্বাভাবিক। যখন পরিস্থিতি বুঝতে পারবেন তখন আর ক্ষোভ জমে থাকবে না।
পড়ুয়াদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'যদি আগে থেকেই চিকিৎসা শিক্ষার নীতি সঠিক হত, তবে এই পড়ুয়াদের বিদেশে যাওয়ার কোনও দরকার হত না। কোনও অভিভাবকই চান না তাদের সন্তানরা এই কম বয়সে তাদের ছেড়ে ভিনদেশে গিয়ে পড়াশোনা করুক বা বসবাস করুক। আগের সরকার যে ভুলগুলি করেছে তারই ফল এটা। সেই ভুল এখন সংশোধন করতে হচ্ছে আমাদের সরকারকে।'
প্রধানমন্ত্রী আরও জানান, আগে দেশে ৩০০-৪০০টি মেডিক্যাল কলেজ ছিল। এখন সেই সংখ্যা পৌঁছেছে ৭০০ তে। আসন সংখ্যাও ৮০-৯০ হাজার থেকে বেড়ে হয়েছে ১.৫ লাখের বেশি। তিনি বলেন, 'আমি চেষ্টা করছি যাতে প্রতিটি জেলায় একটি করে মেডিক্যাল কলেজ থাকে। বিগত ৭০ বছরে দেশে যত চিকিৎসক তৈরি হয়েছেন, আগামী ১০ বছরে তার থেকেও বেশি চিকিৎসক তৈরি হবে বলে আশা করছি।' আশ্বাস দিয়ে বলেন, দেশে মেডিক্যাল কলেজ তৈরি হওয়ায় পড়ুয়াদের বিদেশ যেতেও হবে না। পরিবারও নিশ্চিন্তে থাকবে।
GOOGLE NEWS-এ Telegram-এ আমাদের ফলো করুন। YouTube -এ আমাদের চ্যানেল সাবস্ক্রাইব করুন।