
চলতি বছরের শেষেই বিধানসভা নির্বাচন বিহারে (Bihar)। ভোটের আবহে বিহারে গিয়ে পরিবারতন্ত্র নিয়ে বিরোধী আরজেডি এবং কংগ্রেসকে খোঁচা দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (PM Modi In Bihar)। আরজেডি এবং কংগ্রেসের শাসনকালকে 'জঙ্গলরাজ' বলে কটাক্ষ করেন তিনি। পাশাপাশি, বিজেপি-জেডিইউ নেতৃত্বাধীন এনডিএ সরকারের উন্নয়নের কথা তুলে ধরেন। মোদীর কথায়, বিহারের উন্নয়ন থামবে না।
এদিন বিহারের সিওয়ানে এক জনসভায় ভাষণ দেওয়ার সময় এনডিএ সরকারের উন্নয়নের কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। এরপরেই আরজেডি এবং কংগ্রেসকে আক্রমণ করে মোদী বলেন, "আমরা বলি ‘সবকা সাথ সবকা বিকাশ’, কিন্তু আরজেডি এবং কংগ্রেস ‘পরিবার কা সাথ, পরিবার কা বিকাশ’-এ বিশ্বাসী। কংগ্রেসরাজই ভারতের দারিদ্র্যের জন্য দায়ী। দলের নেতাদের পরিবার যত ধনী হয়ে উঠেছেন, মানুষ ততই গরিব হয়েছেন"। প্রধানমন্ত্রীর দাবি, এর সবচেয়ে বড় শিকার হচ্ছে দলিত এবং পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়গুলি।
বিশ্লেষকদের মতে আরজেডি নেতা তেজস্বী যাদবের তোলা স্বজনপোষণের অভিযোগের জবাব দিলেন প্রধানমন্ত্রী তাঁর এই মন্তব্যের মাধ্যমে। উল্লেখ্য, লালুপুত্র তেজস্বী বহুবার অভিযোগ করেছেন, বিহারের কমিশনে এনডিএ তার নেতাদের বিভিন্ন আত্মীয়কে নিয়োগ করেছে।
ভোটের আবহে গত পাঁচ মাসে এই নিয়ে পাঁচ বার বিহার সফরে গেলেন প্রধানমন্ত্রী। এদিন মোদীর জনসভা যে জেলাতে ছিল, সেই সিওয়ান এবং তার নিকটবর্তী গোপালগঞ্জ, ছাপরা বিরোধী আরজেডির শক্তিশালী ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। সেই ঘাঁটিতে ভাঙন ধরানোর প্রচেষ্টা করছেন মোদী বলে মত অনেকের।
অন্যদিকে, সম্প্রতি একটি ভাইরাল ভিডিওতে লালুপ্রসাদ যাদবের বিরুদ্ধে বিআর আম্বেদকরকে অবমাননার অভিযোগ ওঠে। যা নিয়ে এদিন আরজেডিকে কটাক্ষ করে মোদী বলেন, "আরজেডি বাবাসাহেব আম্বেদকরকে অপমান করেছে। বিহারের মানুষ কোনদিনও এই অপমান ভুলবে না"।
মাইগ্রেন কার্ড নিয়ে আরজেডি এবং কংগ্রেসকে 'বিহার-বিরোধী' এবং 'বিনিয়োগ-বিরোধী' অ্যাখ্যা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, "যখনই তারা উন্নয়নের কথা বলে, মানুষ দোকান, ব্যবসা, শিল্প এবং ব্যবসা-বাণিজ্যে তালা ঝুলতে দেখে... এই লোকেরা দুর্বল অবকাঠামো, মাফিয়া রাজ, গুন্ডা রাজ এবং দুর্নীতির লালন-পালনকারী"।
পাশাপাশি, বিহারে পরিযায়ী শ্রমিক বেশি হওয়ার জন্য বিরোধী আরজেডি-কংগ্রেস জোটকে দায়ী করেছেন মোদী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, "কংগ্রেস এবং আরজেডি দারিদ্র্য এবং বিহার থেকে শ্রমিকদের অভিবাসনের জন্য দায়ী। 'পাঞ্জা' এবং 'লণ্ঠন' একসাথে বিহারের গর্বকে আঘাত করেছে। যারা বিহারে 'জঙ্গলরাজ' এনেছে তারা কোনওভাবে তাদের পুরানো কাজের পুনরাবৃত্তি করার সুযোগ খুঁজছে। আপনার সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যতের জন্য আপনাকে খুব সতর্ক থাকতে হবে"।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন