
পাঁচ হাজার টাকার বিনিময়ে চতুর্থ শ্রেণীর পিওনকে দিয়ে পরীক্ষার খাতা দেখাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক। বিষয়টি সামনে আসতেই বিপাকে অধ্যাপক। তাঁকে সাসপেন্ড করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। যদিও অধ্যাপকের দাবি, শারীরিক অসুস্থতার কারণে তিনি অন্য একজনকে দিয়ে উত্তরপত্র মূল্যায়ন করিয়েছিলেন কেবল।
ঘটনাটি ঘটেছে মধ্যপ্রদেশের পিপারিয়া শহরের শহিদ ভগৎ সিং সরকারি কলেজে। চলতি বছর জানুয়ারি মাসে একটি ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। যেখানে দেখা যায়, ওই কলেজের পিওন পান্নালাল পাথারিয়া পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র মূল্যায়ন করছেন। তবে সেখানে উপস্থিত নেই কলেজের কোনও অধ্যাপক। জানা গেছে, তাঁকে এই কাজের দায়িত্ব দিয়েছিলেন অতিথি অধ্যাপক খুশবু পাগারে।
ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়তেই পড়ুয়ারা স্থানীয় বিধায়ক ঠাকুরদাস নাগবংশীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যুব বিষয়ক ও সমবায় মন্ত্রী বিশ্বাস সারং অধ্যাপক ও পিওনের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে আশ্বাস দেন। রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরের নজরে এই ভিডিও আসলে বিষয়টির পূর্ণাঙ্গ তদন্ত শুরু হয়। গঠন করা হয় একটি কমিটিও।
গত ৩ এপ্রিল সেই কমিটি রিপোর্ট পেশ করেছে। রিপোর্ট অনুযায়ী, পরীক্ষার উত্তরপত্র মূল্যায়নের জন্য খুশবু পান্নালালকে পাঁচ হাজার টাকা দিয়েছিলেন। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক কর্মচারী রাকেশ মেহেরকে সাত হাজার টাকা দেওয়া হয়েছিল। তাঁকে বলা হয়, খাতা দেখার জন্য কোনও একজনের ব্যবস্থা করে দিতে।
রিপোর্ট পেশ করার পর পান্নালাল এবং খুশবুকে দোষী সাব্যস্ত করেছে কমিটি। তাঁদের বিরুদ্ধে কঠোর বিভাগীয় ব্যবস্থার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রাকেশকুমার বর্মা এবং অধ্যাপক রামগুলাম প্যাটেল উভয়কেই প্রক্রিয়া সঠিকভাবে তদারকি করতে ব্যর্থ হওয়ায় তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন