
পহেলগাঁও হামলা নিয়ে তাঁর করা মন্তব্যকে ইচ্ছাকৃতভাবে বিকৃত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করে বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করলেন প্রাক্তন কংগ্রেস সাংসদ পি চিদম্বরম। তাঁর দাবি, তাঁর সাক্ষাৎকারের কিছু অংশ কেটে কেটে সমাজমাধ্যমে ছড়ানো হচ্ছে।
সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকার অনুষ্ঠানে পহেলগাঁও হামলা নিয়ে নিজের মতামত দেন পি চিদম্বরম। যেখানে কংগ্রেস নেতাকে বলতে শোনা যায়, “কেন্দ্র কি সন্ত্রাসীদের শনাক্ত করেছে? তারা কোথা থেকে এসেছে? তারা স্বদেশী সন্ত্রাসবাদীও হতে পারে। কেন ধরে নেওয়া হচ্ছে যে তারা পাকিস্তান থেকে এসেছে? এর কোনও প্রমাণ নেই”।
এই মন্তব্যের পরই চিদম্বরমকে তীব্র আক্রমণ করে বিজেপি। বিজেপির আইটি সেলের প্রধান অমিত মালব্য বলেন, “আবারও কংগ্রেস পাকিস্তানকে ক্লিন চিট দিতে ব্যস্ত, এবার পহেলগাঁও হামলার ক্ষেত্রে। কংগ্রেস নেতারা কেন বারবার ভারতের বিরোধীদের তুলনায় ইসলামাবাদের সুরে কথা বলেন?”
বিজেপি সাংসদ নিশিকান্ত দুবে আবার কংগ্রেস দলকে “বিশ্বাসঘাতক সংগঠন” আখ্যা দেন। সর্বভারতীয় এক সংবাদ সংস্থায় তিনি বলেন, “রাহুল গান্ধী চীনের সঙ্গে চুক্তি করেন, দুর্নীতিতে জড়িয়ে আছেন এবং দেশ বিক্রি করতে চেয়েছিলেন। এখন তাঁরা মোদীর নেতৃত্ব মেনে নিতে পারছেন না”।
বিজেপিকে পাল্টা আক্রমণ করেছেন পি চিদম্বরম। X মাধ্যমে তিনি লেখেন, “ট্রোল বিভিন্ন ধরণের হয় এবং ভুল তথ্য ছড়াতে নানা অস্ত্র ব্যবহার করে। সবচেয়ে খারাপ ধরণের ট্রোল হলো সেটা, যেখানে একটি পূর্ণ সাক্ষাৎকার চাপা দিয়ে মাত্র দুটি বাক্য তুলে ধরে, কিছু শব্দ মিউট করে, মূল বক্তব্যকে সম্পূর্ণ বিকৃত করে শেয়ার করা।”
কংগ্রেস সাংসদ মানিকম ঠাকুর বলেন, “পাহেলগাঁও হামলা এবং অপারেশন সিন্দুরে মোদী সরকারের ব্যর্থতা থেকে দৃষ্টি সরানোর জন্য বিজেপি চিদাম্বরমকে নিশানা করছে। এটি একটি স্পষ্ট বিভ্রান্তিকর কৌশল।”
সিনিয়র কংগ্রেস নেতা প্রমোদ তিওয়ারি প্রশ্ন তোলেন, “তিন মাস কেটে গেলেও এখনও সন্ত্রাসবাদীদের পরিচয় অজানা। ২৬ জন ভারতীয়কে হত্যাকারীদের তথ্য কোথায়? সরকার ব্যর্থ।”
স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন