লকডাউনের বর্ষপূর্তি: এখনও দগদগে স্মৃতিতে কুফলের হিসাব গুনছেন ভুক্তভোগীরা

দেশের নানা প্রান্তে থাকা মানুষ বাড়ি ফেরার জন্য হাজার হাজার মাইল পাঁয়ে হেঁটেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের সেই দুর্দশার ছবি আজও সকলের চোখের সামনে ভাসছে।
লকডাউনের বর্ষপূর্তি: এখনও দগদগে স্মৃতিতে কুফলের হিসাব গুনছেন ভুক্তভোগীরা
ফাইল চিত্র
Published on

নয়াদিল্লি, ২৪ মার্চ: মোদি সরকারের লকডাউনের ফল একবছর পরও ভুগতে হচ্ছে আম জনতাকে। লকডাউনের ফলে মহামারী আটকানো তো সম্ভব হয়নি, বরং ক্ষতির পরিমাণ এখনও গুণতে হচ্ছে ভুক্তভোগীদের। জরুরি পরিষেবা ছাড়া দেশ স্তব্ধ করে দিয়েছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ডাকা জনতা কার্ফু। দেশের নানা প্রান্তে থাকা মানুষ বাড়ি ফেরার জন্য হাজার হাজার মাইল পাঁয়ে হেঁটেছে। পরিযায়ী শ্রমিকদের সেই দুর্দশার ছবি আজও সকলের চোখের সামনে ভাসছে।

লকডাউনের বর্ষপূর্তি: এখনও দগদগে স্মৃতিতে কুফলের হিসাব গুনছেন ভুক্তভোগীরা
২৪ মার্চ লকডাউনের ১বছর- পরিকাঠামো ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে লকডাউন

রেল লাইনের উপর শুয়ে থাকা অসহায় মানুষগুলোর বেঘোরে প্রাণ যাওয়ার ঘটনায় কেঁদে উঠেছে সকলের মন। আর এই সবকিছুর মূলেই কেন্দ্রের একটি সিদ্ধান্তকে দায়ী করেছে সমাজের এইসব প্রান্তিক মানুষগুলো। কিন্তু এই সময়ের মধ্যে স্বাস্থ্য পরিষেবা উন্নত তো দূর, মহামারী থেকে মানুষকে রক্ষা করার মতো পর্যাপ্ত পরিষেবাও দিতে পারেনি কেন্দ্র। এই পরিস্থিতিতে থালা-বাটি-ঘণ্টা বাজিয়ে চিকিৎসক-নার্সদের উৎসাহ দেওয়ার নিদান দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। রাস্তায় যে সব অসহায় মানুষগুলো ঘরে ফেরার জন্য কাতর আবেদন জানিয়ে এসেছেন, তাদের চাকরি, অর্থ সংস্থানের ব্যবস্থা গত বছরেও করা সম্ভব হয়নি।

আবার দেশে নতুন করে করোনার ঢেউ দেখা দিয়েছে। ফের শুরু হয়েছে লকডাউনের গুঞ্জন। দেশের নানা প্রান্তে ইতিমধ্যেই লকডাউনও জারি করা হয়েছে সংক্রমণে রাশ টানার জন্য। আর এতেই ফের একবার এক বছর পুরনো সেই স্মৃতি দিয়ে উঠতে শুরু করেছে লকডাউনের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার প্রকৃত ভুক্তভোগীদের। কারণ, লকডাউনের কুফল এখনও ভোগ করতে হচ্ছে যাদের, তাদের কাছে বিভীষিকায় পরিণত হয়েছে লকডাউনের মূহুর্তগুলো। তাই তারা আর চায়না দেশে লকডাউন হোক। সংক্রমণের সঙ্গে যুঝে চলা যায়, কিন্তু খিদের সঙ্গে নয়।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in