২৪ মার্চ লকডাউনের ১বছর- পরিকাঠামো ঠিক কোথায় দাঁড়িয়ে চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়েছে লকডাউন

বাজেটে দাবি করা হয়েছে, দেশের অর্থনীতি পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসতে চলেছে। কিন্তু, মানুষের জীবনযাত্রা হোক বা আয় কিন্তু সেই আগের অবস্থায় এখনও ফিরে যায়নি। আমাদের সামাজিক সুরক্ষা আগের অবস্থায় ফেরেনি।
ছবি- প্রতীকী
ছবি- প্রতীকী
Published on

১৯ মার্চ, নয়াদিল্লি : ২৪ মার্চ লকডাউন একবছর পূর্ণ করবে। কোভিড পরিস্থিতিতে এই লকডাউন মানুষকে অনেক কিছুই শিখিয়ে গিয়েছে, যা কখনই ভোলার নয়। এই পরিস্থিতিতেই ২০২১-২২ কেন্দ্রীয় বাজেট পেশ করা হয়েছে। বাজেটে দাবি করা হয়েছে, দেশের অর্থনীতি পুনরায় আগের অবস্থায় ফিরে আসতে চলেছে। কিন্তু, মানুষের জীবনযাত্রা হোক বা আয় কিন্তু সেই আগের অবস্থায় এখনও ফিরে যায়নি। আমাদের সামাজিক সুরক্ষার অবস্থান এখনও আগের অবস্থায় ফিরে যায়নি।

যখন দেশে লকডাউন ঘোষণা করা হয়, তখন সরকারের দেশের ক্ষতির কথা একেবারেই চিন্তা করেনি। বিশেষত, অসংগঠিত ক্ষেত্রের শ্রমিকদের জন্য কোন্ও ভাবনাচিন্তা না করেই এই লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছিল। লকডাউন ঘোষণার সময় প্রধানমন্ত্রী গরিব কল্যাণ যোজনার দ্বারা সমাজের সব স্তরের মানুষের খাদ্য সুরক্ষার প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল। বহু রাজ্য সরকার ডাল, তেল এবং অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদী সরবরাহ করেছিল। যদিও তা অপর্যাপ্ত ছিল। বহু মানুষ কোনও খাদ্য সামগ্রী পাননি শুধুমাত্র তাদের কোনও পরিচয়পত্র না থাকার কারণে বা রেশনকার্ড না থাকার কারণে।

ছবি- প্রতীকী
লকডাউন ওঠার পরেও অসংগঠিত ক্ষেত্রের প্রায় ১৫ শতাংশ শ্রমিক এখনও কর্মহীন

কেরলের মতো কিছু রাজ্যে এইসব মানুষদের জন্য কমিউনিটি কিচেনের মাধ্যমে মানুষের খিদে নিবারণের চেষ্টা করা হয়েছে। এই অবস্থাই ফের একবার চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, দেশের রেশন ব্যবস্থার মধ্রে এখনও কত ত্রুটি রয়েছে। ঝাড়খণ্ড ও উত্তরপ্রদেশের মতো রাজ্যে যেসব মানুষদের রেশনকার্ড ছিল না, তাদেরও রেশন দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। বিহার সরকার সমীক্ষা করে দেখে কাদের কাদের রেশনকার্ড নেই।

তামিলনাড়ু, অন্ধ্রপ্রদেশ প্রভৃতি রাজ্যেও বিভিন্ন ঘাটতি খতিয়ে দেখা হয়। মোট কথা, লকডাউন দেখিয়ে দিয়েছে, আমাদের সমাজের পরিকাঠামোয় ঠিক কোথায় কোথায় ঘাটতি রয়েছে। সেইসব ঘাটতি পূরণে মাধ্যমে লকডাউন পূর্ববর্তী অবস্থাকে শুধরে নতুনভাবে এগিয়ে চলার দিকে নজর দিতে হবে প্রশাসন, সরকারকে।

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in