

এবার থেকে আর কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে সমর্থন নয়। সরাসরি বিরোধিতার রাস্তায় হাঁটবে নবীন পট্টনায়কের বিজেডি। সোমবারই বিজেডির রাজ্যসভা সাংসদদের সঙ্গে এক বৈঠকে বসেন দলের প্রধান নবীন পট্টনায়ক। সেই বৈঠকেই তিনি দলের ৯ রাজ্যসভা সাংসদকে রাজ্যসভায় ‘গঠনমূলক এবং কড়া’ বিরোধিতার নির্দেশ দিয়েছেন। রাজ্যসভার অধিবেশন শুরু হচ্ছে আগামী ২৭ জুন।
রবিবার দলীয় নেতাদের সাথে এক বৈঠকে পট্টনায়েক জানিয়েছেন, “আপনারা সকলেই জানেন যে বিজেপি ওড়িশা বিধানসভায় সংখ্যাগরিষ্ঠতার চেয়ে মাত্র চারটি বেশি আসন পেয়েছে। কেন্দ্রেও বিজেপির একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নেই। তাই সকলকে কঠোর পরিশ্রম করতে হবে, ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে এবং দলকে আরও শক্তিশালী করতে হবে।”
এদিনের বৈঠকের শেষে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে রাজ্যসভায় বিজেডি দলনেতা সাস্মিত পাত্র বলেন, “বিজেডি সাংসদরা এবার শুধু ইস্যুভিত্তিক কথা বলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। কেন্দ্রের বিজেপি-নেতৃত্বাধীন সরকার ওড়িশার স্বার্থ উপেক্ষা করলে প্রবল আন্দোলন করতে বদ্ধপরিকর।”
তিনি আরও বলেন, নবীন পট্টনায়ক স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন, রাজ্যের স্বার্থে সংসদের ভেতর সরব হতে হবে এবং রাজ্যের দাবি দাওয়া, রাজ্যের মানুষের অধিকারের বিষয়টি তুলে ধরতে হবে। গত ১০ বছর ধরে কয়লার রয়্যালটি পুনঃমূল্যায়নের বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকার গুরুত্ব দেয়নি। যার ফলে ওড়িশাকে বড়ো আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হচ্ছে।
এদিন পাত্র বলেন, ওড়িশা জুড়ে মোবাইল পরিষেবা অত্যন্ত খারাপ এবং রাজ্যে ব্যাঙ্কের শাখার সংখ্যাও অত্যন্ত কম। সংসদে সেই বিষয়ে যথাযথ গুরুত্ব দেবার আবেদন জানাবে বিজেডি।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, এবার থেকে বিজেপি সরকারকে আর কোনও সমর্থন দেওয়া হবেনা। শুধুমাত্র বিরোধিতা করা হবে। ওড়িশার স্বার্থ রক্ষায় আমার যতদূর সম্ভব যাওয়া প্রয়োজন ততদূর যাবো। বিজেপিকে সমর্থন করার কোনও প্রশ্নই উঠছে না।
বর্তমানে রাজ্যসভায় বিজেডির মোট সাংসদের সংখ্যা ৯। যদিও সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে ওড়িশায় বিজেডি কোনও কেন্দ্রে জয়ী হতে পারেনি। পাশাপাশি দীর্ঘ ২৪ বছর পর ওড়িশা থেকে ক্ষমতাচ্যুত হয়েছে বিজেডি। অতীতে সংসদের ভেতরে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারকে নিঃশর্ত সমর্থন দিয়েছে বিজেডি। এছাড়াও দু’দফায় অশ্বিনী বৈষ্ণবকে রাজ্যসভায় নির্বাচিত হতেও সহায়তা করেছে।
ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন