আসামের পুজো মণ্ডপে বাংলা ভাষার ব্যবহার কেন? ব্যানার খুলে ক্ষমা চাইতে হলো উদ্যোক্তাদের

People's Reporter: ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। তিনি বলেন, "আসামের কিছু মৌলবাদী সংগঠন আসামের কিছু অংশে পুজো প্যান্ডেলে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চাইছে।"
ইনসেটে (মণ্ডপের ছবি)
ইনসেটে (মণ্ডপের ছবি)
Published on

দুর্গাপুজোতেও ভাষার দ্বন্দ্ব! আসামের একটি পুজো মণ্ডপে বাংলা ভাষায় লেখা ব্যানার খুলে দিল বীর লাচিত সেনা নামের একটি সংগঠন। যা নিয়ে তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন প্রাক্তন সাংসদ তথা তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব।

একবিংশ শতাব্দীতে এসেও বিভিন্ন ভাষা নিয়ে লড়াই অব্যাহত। ব্রহ্মপুত্র নদ উপত্যকা এলাকায় প্রতিবছরই দুর্গাপুজো হয়। ওই অঞ্চলে বাঙালির সংখ্যাই বেশি। পুজো কমিটির বক্তব্য, বাংলা ভাষাভাষির মানুষ বেশি থাকায় পুজোর ব্যানারও বাংলাতেই লেখা হয়েছিল। কিন্তু বীর লাচিত সেনা নামের ওই সংগঠন মণ্ডপে এসে দাবি করে আসামে থেকে বাংলা ব্যবহার করা যাবে না। এমনকি পুজো উদ্যোক্তাদের ক্ষমা চাইতেও বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ। তাঁরা এও প্রশ্ন করেছেন, সমস্ত জনজাতিই নিজেদের ভাষা ব্যবহার করে। বাঙালিদের জন্য নিয়ম আলাদা নাকি?

এই ঘটনায় বাঙালি ভাবাবেগে আঘাতের অভিযোগ আনছেন আসামেরই একাধিক সামাজিক সংগঠন। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁরা লিখছেন, এই ধরণের ঘটনা ঘটা উচিতই নয়। সরকারের উচিত দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ করা। নিজের ভাষা ব্যবহারে সকলেরই স্বাধীনতা রয়েছে।

ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী সুস্মিতা দেব। তিনি বলেন, "আসামের কিছু মৌলবাদী সংগঠন আসামের কিছু অংশে পুজো প্যান্ডেলে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিয়ে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করতে চাইছে। জোর করে ব্যানার সরিয়ে দিয়েছে। এটা বেআইনি ও লজ্জাজনক"।

উল্লেখ্য, কিছু দিন আগে তেজপুরে একাধিক শো-রুমে ঢুকে বাংলায় লেখা সব ব্যানার খুলে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তাদের দাবি, আসামে থেকে বাংলায় লিখে ব্যবসা করা যাবে না।

ইনসেটে (মণ্ডপের ছবি)
নর্দমা সাফ করতে নেমে মৃত্যু হলে পরিবারকে ৩০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে, কড়া নির্দেশ শীর্ষ আদালতের
ইনসেটে (মণ্ডপের ছবি)
'ঘন ঘন বহুমূল্য সামগ্রী চাইতেন মহুয়া', হলফনামা ব্যবসায়ী হিরনান্দানির, পাল্টা প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদের

SUPPORT PEOPLE'S REPORTER

ভারতের প্রয়োজন নিরপেক্ষ এবং প্রশ্নমুখী সাংবাদিকতা — যা আপনার সামনে সঠিক খবর পরিবেশন করে। পিপলস রিপোর্টার তার প্রতিবেদক, কলাম লেখক এবং সম্পাদকদের মাধ্যমে বিগত ১০ বছর ধরে সেই চেষ্টাই চালিয়ে যাচ্ছে। এই কাজকে টিকিয়ে রাখতে প্রয়োজন আপনাদের মতো পাঠকদের সহায়তা। আপনি ভারতে থাকুন বা দেশের বাইরে — নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে একটি পেইড সাবস্ক্রিপশন নিতে পারেন। স্বাধীন সংবাদমাধ্যমকে বাঁচিয়ে রাখতে পিপলস রিপোর্টারের পাশে দাঁড়ান। পিপলস রিপোর্টার সাবস্ক্রাইব করতে এই লিঙ্কে ক্লিক করুন

Related Stories

No stories found.
logo
People's Reporter
www.peoplesreporter.in